এ এক বৈরীপ্রিয়ার গল্প নাম তার খানসা। স্থির অচঞ্চল। জেদী আবার সাহসীও। অনমনীয় হলেও মিশুক, বন্ধুবাৎসল। এক বিচিত্রধর্মী স্বাতন্ত্রচিহ্নিত একটা মেয়ে। যার স্বভাবে বৈরীতাই প্রকট। প্রিয়া আর হওয়া হয়ে ওঠেনা। শৈশবের চৌকাঠ পেরোনোর আগেই এক নোংরা অভিজ্ঞতার স্বীকার। দস্যিপনার জন্ম সেদিন থেকেই। তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই শিখে ফেলে কীভাবে কাপুরুষদের ফেস করতে হয়। বিশ্বাস জন্মায় ওদের বেশীর ভাগই নারীখাদক। সেই বোধ থেকেই হয়ে ওঠে দুর্দমনীয়া। পরিবার আর পারিপার্শ্বিক চাপের সাথে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা। চিরাচরিত নিয়মে বাধ্য হয় বিয়ে করতে । কিন্তু স্বামীর সাথে প্রেম জমেনা। স্বাভাবিক মানবীয় লেনদেন হয়েই রয়ে যায়। একদিন এই বিশ্বাসের ঘরেও ভাঙ্গন ধরে। মেয়েটি প্রবাসী জীবনে হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ একা আর অরক্ষিত। আবারও একজন এগিয়ে আসে। হাজারো বৈচিত্রের ভীড়ে আরেকজন পুরুষ। ভালো না মন্দ বোঝার উপায় নেই। বিয়ে হয়ে যায়। এবারে বাধ্য হয়ে নয় কিছুটা বাধিত হয়ে। তারপর......!!! প্রিয় পাঠক, উপন্যাসের এই অংশটুকু। একেবারেই অন্যরকম। এক ভিন্ন আমেজ। একজন নর আর নারীর গল্প। এক বৈরীর প্রিয়া হয়ে ওঠার গল্প। এপালাচিয়ান ট্রেইল, বাটারমিল্ক ফলস আর সানফিশ পুকুরের কাছে আদিম প্রকৃতির কোলে নিঃশ্বাসে বিশ্বাস খুঁজে পাওয়া দুজন নর-নারীর গল্প। একদিকে খানসার বিচিত্র চরিত্র চিত্রণ। অন্যদিকে অসংখ্য বৈচিত্রময় ঘটনার পদার্পন। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে হাজারো খানসাদের ভীড়ে এক বৈরীপ্রিয়ার মানুষী হৃদয়ের অচেনা দিক নির্ণয়ের নান্দনিক আয়োজন জানতে হলে পড়ুন বৈরীপ্রিয়া একজন নারীর আত্মকথা।