ইংরেজিতে অসংখ্য শিকার কাহিনী রচিত হলেও বাংলাদেশে শিকারের সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা সম্ভবত এটিই প্রথম বই। ১৯৬৪ সালের গোড়ার দিকে ‘মুক্তধারা’ থেকে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সে সময় বইটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে আদৃত হয়। তৎকালীন শিক্ষাবোর্ড বইটিকে দশম শ্রেণির সহপাঠ হিসেবে মনোনীত করে। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরী, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, অধ্যাপিকা আনোয়ারা খাতুনসহ আরো অনেক বরেণ্য লেখক, ব্যক্তিবর্গ ও পত্র-পত্রিকা বইটি সম্পর্কে তাদের সপ্রশংস অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া পকিস্তান বেতার থেকেও বইটির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। বাঘ-বন-বন্দুক বইটিতে লেখক তাঁর নিজ প্রজন্মের এমন একটি অপ্রকাশিত দিক উন্মোচন করেছেন, যে দিকটি নব প্রজন্মের পাঠকদের কাছে নতুন এবং একেবারে অনাস্বাদিত। অর্ধশতাব্দি আগেও বাংলাদেশের অনেক এলাকা জুড়ে ব্যাপ্ত ছিল গভীর বনভূমি। অনেক শখের শিকারীই তখন এসব বনে চিতা বাঘ, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বন্য মহিষ, শুকর ইত্যাদি বন্যপ্রাণী শিকার করতেন। হিংস্র পশুর সথে জীবন বাজি রেখে ভয়কে জয় করার মধ্যে যারা আনন্দ খুঁজে পান যৌবনে তাদেরই একজন ছিলেন লেখক। নগরায়ণের হিংস্র থাবার শিকার সেই ভয়ঙ্কর বন আজ ইতিহাসের পাতায় আশ্রয় খুঁজছে। এখন নতুন প্রজন্মের কাছে সেই সুবিশাল অরণ্যের কথা কেবল অবিশ্বাস্যই নয়, কল্পনাতীত। বিপজ্জনক শিকার পন্নী বংশের একটি বৈশিষ্ট্য; তাই ছোট বেলা থেকেই লেখক বন-জঙ্গলে শিকার করে বেড়িয়েছেন। এ বইয়ের পাতায় পাতায় রয়েছে লেখকের সেইসব দুঃসাহসিক অভিযানের সত্য বর্ণনা। শিকারের উপকরণ ও আয়োজন, অরণ্যের সৌন্দর্য ও রহস্য, জন্তুর ভাষা ও আচরণ, বন্দুকের ব্যবহার ও প্রকরণ, শিকারীর শিক্ষা ও সাধনা প্রতিটি বিষয়ে লেখক এ বইয়ে আকর্ষণীয় তথ্য পরিবেশন করেছেন। শিকার কাহিনীর শিহরণমূলক আবেদনকে ক্ষুণ্ণ না করেও তিনি বাঘ, বন, বন্দুক ও মানুষ সম্পর্কে অনেক কৌতুহলোদ্দীপক সত্য উদ্ঘাটন করেছেন। পাশাপাশি শিকারীদের সম্পর্কে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠিত থাকা কিছু ভুল ধারণার অসারতাও তিনি প্রমাণ করেছেন। আশা করা যায় অর্ধশতাব্দীর ব্যবধানে এবং সম্পূর্ণ পরিবির্তিত সময়ে এ বইটির পুনরাবির্ভাব পাঠকবর্গকে রোমঞ্চিত করবে। ইংরেজিতে অসংখ্য শিকার কাহিনী রচিত হলেও বাংলাদেশে শিকারের সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা সম্ভবত এটিই প্রথম বই। ১৯৬৪ সালের গোড়ার দিকে ‘মুক্তধারা’ থেকে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সে সময় বইটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে আদৃত হয়। তৎকালীন শিক্ষাবোর্ড বইটিকে দশম শ্রেণির সহপাঠ হিসেবে মনোনীত করে। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরী, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, অধ্যাপিকা আনোয়ারা খাতুনসহ আরো অনেক বরেণ্য লেখক, ব্যক্তিবর্গ ও পত্র-পত্রিকা বইটি সম্পর্কে তাদের সপ্রশংস অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া পকিস্তান বেতার থেকেও বইটির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। বাঘ-বন-বন্দুক বইটিতে লেখক তাঁর নিজ প্রজন্মের এমন একটি অপ্রকাশিত দিক উন্মোচন করেছেন, যে দিকটি নব প্রজন্মের পাঠকদের কাছে নতুন এবং একেবারে অনাস্বাদিত। অর্ধশতাব্দি আগেও বাংলাদেশের অনেক এলাকা জুড়ে ব্যাপ্ত ছিল গভীর বনভূমি। অনেক শখের শিকারীই তখন এসব বনে চিতা বাঘ, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বন্য মহিষ, শুকর ইত্যাদি বন্যপ্রাণী শিকার করতেন। হিংস্র পশুর সথে জীবন বাজি রেখে ভয়কে জয় করার মধ্যে যারা আনন্দ খুঁজে পান যৌবনে তাদেরই একজন ছিলেন লেখক। নগরায়ণের হিংস্র থাবার শিকার সেই ভয়ঙ্কর বন আজ ইতিহাসের পাতায় আশ্রয় খুঁজছে। এখন নতুন প্রজন্মের কাছে সেই সুবিশাল অরণ্যের কথা কেবল অবিশ্বাস্যই নয়, কল্পনাতীত। বিপজ্জনক শিকার পন্নী বংশের একটি বৈশিষ্ট্য; তাই ছোট বেলা থেকেই লেখক বন-জঙ্গলে শিকার করে বেড়িয়েছেন। এ বইয়ের পাতায় পাতায় রয়েছে লেখকের সেইসব দুঃসাহসিক অভিযানের সত্য বর্ণনা। শিকারের উপকরণ ও আয়োজন, অরণ্যের সৌন্দর্য ও রহস্য, জন্তুর ভাষা ও আচরণ, বন্দুকের ব্যবহার ও প্রকরণ, শিকারীর শিক্ষা ও সাধনা প্রতিটি বিষয়ে লেখক এ বইয়ে আকর্ষণীয় তথ্য পরিবেশন করেছেন। শিকার কাহিনীর শিহরণমূলক আবেদনকে ক্ষুণ্ণ না করেও তিনি বাঘ, বন, বন্দুক ও মানুষ সম্পর্কে অনেক কৌতুহলোদ্দীপক সত্য উদ্ঘাটন করেছেন। পাশাপাশি শিকারীদের সম্পর্কে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠিত থাকা কিছু ভুল ধারণার অসারতাও তিনি প্রমাণ করেছেন। আশা করা যায় অর্ধশতাব্দীর ব্যবধানে এবং সম্পূর্ণ পরিবির্তিত সময়ে এ বইটির পুনরাবির্ভাব পাঠকবর্গকে রোমঞ্চিত করবে।