‘বঙ্গ থেকে বঙ্গবন্ধু : বাঙালির ধর্ম ও দর্শন’ গ্রন্থটি কবি ওয়াহিদ রহমানের একটি গবেষণাধর্মী কর্ম। দীর্ঘদিন তিনি এই লেখাটি সম্পন্ন করার জন্য শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করেছেন। একটি দেশের মানুষ যদি তার নিজের পরিচিতি তথা ইতিহাস না জানে, তার দেশের মানুষের জীবনাচার তথা সংস্কৃতির ইতিহাস না জানে, তার জীবনচিত্র ও মুক্তির যাত্রাপথ এবং সর্বোপরি তার আত্মপরিচিতি তথা জীবনদর্শন না জানে, তবে সে সুযোগে অশুভ শক্তি বিভ্রান্তির জাল বিস্তার করে গোটা জাতিকে বিপথগামী ও ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে বলে কবির বিশ্বাস। দেশের মানুষকে যথাযথ অর্থে শিক্ষিত করে তোলা ও সঠিক ইতিহাসসচেতন করে তোলার কাজটি যে খুবই জরুরি তা সর্বমহলস্বীকৃত। বিশ্বাসহরণকারী অশুভ শক্তির লোভ ও মোহের প্ররোচনায় সৃষ্ট চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন না-থাকলে এদের লোভনীয় ফাঁদে যে কেউ-ই আটকা পড়ে তৎসংশ্লিষ্ট কার্যাদি সম্পাদনে লিপ্ত হবে—এটাই স্বাভাবিক। তাই ইতিহাস-ঐতিহ্য সচেতন হওয়ার উদ্দেশ্যে কবির এ প্রয়াস। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের আদর্শ, সাধনা সর্বোপরি তাঁর চিন্তা ও কর্ম, চির-অম্লান, চিরভাস্বর হয়ে যুগে যুগে, কালে কালে জাতিকে ঐতিহ্যশালী করে তুলবে, মুছে ফেলবে সব কলঙ্ককালিমা—এমনটাই আশাবাদ কবির। সোনার বাংলা একদিন সত্যি সত্যিই বিশ্বে শান্তির সবুজ আলো ছড়াবে। নিত্যদিন প্রভাতী সূর্য উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্ত আকাশে উড়বে লাল-সবুজের পতাকা। বাংলার আকাশ-বাতাস, সাগর-পাহাড়, সবুজ প্রান্তর আর বনভূমিজুড়ে, বাংলার হৃদয়জুড়ে অকৃত্রিম এক মায়াময় আবহে হিল্লোলিত হবে অমিয় সুর—‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’।