এক জীবনে অনেক জীবন *************************** কাহিনি সংক্ষেপ ------------------- উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান জারা'র সঙ্গে আদিত্যের পরিচয় হয় ফেসবুকে । আদিত্যের মন ভোলানো কথায় জারা একসময় আদিত্যের প্রেমে পড়ে যায় । বিষয়টা তার বন্ধু এবং পরিবার জানার পর সবাই জারাকে এই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলে ; কিন্তু জারা আদিত্যের নেশায় এতটাই বিভোর যে সে কারও কথায় কান দেয় না । জারা তার মা'কে জোর করে রাজি করায় আদিত্যের সঙ্গে দেখা করার জন্য । প্রথম দেখাতেই তাবাসসুমের আদিত্যকে অপছন্দ হয় । তাঁর কাছে ছেলেটাকে ভীষণ চতুর মনে হয় । সে যেন কিছু একটা কিছু গোপন করার চেষ্টা করছে । তাবাসসুম জারাকে আবারও বলেন সম্পর্ক শেষ করতে ; কিন্তু জারা কারও কোনও কথা শুনতে রাজি না । এদিকে আদিত্য ক্রমাগত জারাকে ভয় দেখাতে থাকে , বাবা-মা জারাকে আটকে রেখেছে অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে দেবে বলে । জারা যেন যে কোনোভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আদিত্যের কাছে চলে আসে । জারা তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা তখনই করে বসে, বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে । আদিত্য জারাকে নিয়ে বন্ধুর বাড়িতে হাজির হয় এবং জারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাজি ডেকে এনে তাদের বিয়ে পড়ানো হয় । এর পরেই বেরিয়ে আরেক কাহিনি । আদিত্যের আড়ালে এ তো অন্য কেউ, নাম তার রফিক ! নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রফিক সবসময় বড় বড় স্বপ্ন দেখত । তাই বিনা পরিশ্রমে ওপরে ওঠার উপায় হিসেবে সে ধনীর কন্যা জারাকে টার্গেট করেছিল । জারা'র কাছে যখন আদিত্যের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে, জারা'র পৃথিবীটা টালমাটাল হয়ে ওঠে । সে ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে । সে রফিককে ছেড়ে চলে আসে এবং ওকে ডিভোর্স দেয় । এরপর শুরু হয় জারা'র জীবনের নতুন অধ্যায় । আত্মীয়, বন্ধু সবাই সুযোগে তাকে খারাপ কথা শোনাতে থাকে । মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জারা'র পাশে এই সময়ে খালাতো ভাই সাদাত ঢাল হয়ে দাঁড়ায় । বাবা-মা, ভাইবোনও তাকে প্রচন্ড রকম সাপোর্ট করে । আবার শুরু হয় লেখাপড়া । নানা রকম টানাপোড়েন পেরিয়ে জারা'র লেখাপড়া চালিয়ে যায় । জীবনটাকে নতুন করে সাজানোর স্বপ্ন দেখে আর এরমধ্যে জারা'র জীবনে আবির্ভাব হয় নতুন আরেক মানুষের………...