এ.পি.জে আবদুল কালাম ছিলেন জনগণের মহান রাষ্ট্রনায়ক। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসাবে কাজ করে গেছেন। রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্ত্বেও নানা প্রোটোকলের বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। সব অর্থে তাঁকে পিপলস প্রেসিডেন্ট বলা যায় । আবদুল কালামের চরিত্রের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো— তিনি ছিলেন প্রচুর জ্ঞানপিপাষু। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী। ভারত সামরিক শক্তিতে আজ বিশ্বের অন্যতম অগ্রগামী দেশ হয়ে উঠেছে, এর অন্তরালে আছে আবদুল কালামের মতো বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের সমবেত অবদান। মানুষ হিসাবে আবদুল কালাম ছিলেন অজাতশত্রু। সবার সাথে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে চলতেন তিনি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের প্রতি তিনি ছিলেন তীব্র অনুরাগী। একজন যথার্থ ভারতবাসী হিসাবে কালাম উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, তরুণ প্রজন্মের ওপর ভারতের ভবিষ্যত নির্ভরশীল। তাই তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি কর্মমুখী ও জ্ঞানঅন্বেষু করে তুলতে হবে। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর রাষ্ট্রশিক্ষক আবদুল কালাম আবার তাঁর শিক্ষতার জীবনে ফিরে যান। শিক্ষক হিসাবে একাধিক সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শিলং-এর এক শিক্ষাসম্মেলনে ভাষণ দিতে গেলেন। এই ভাষণের মাধ্যমে কালাম দূষণদুষ্ট পৃথিবীর ভবিষ্যত সম্পর্কে নানা আশঙ্কার কথা বলে গেছেন । মহামানব আবদুল কালাম আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আমরা যদি তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য সকলে মিলে চেষ্টা করি, তাহলে সেটাই হবে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন। এই ছোট্ট বইটির মাধ্যমে আমরা আবদুল কালামের কর্মমুখর জীবন এবং জীবনদর্শনের একটি রূপরেখা আপনাদের হাতে তুলে দিতে চেষ্টা করেছি। বইটি পড়ে যদি আপনারা আবদুল কালাম সম্পর্কে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন, তাহলে লেখক হিসাবে নিজেকে আমি সার্থক বলে মনে করব।