মুমিনের কাছে ইমানের চেয়ে দামি আর কিছু নেই। যে শক্তির প্রধান উৎস আল কোরআন ও রাসূল (সা.) এঁর সুন্নাহ। এ দুটো বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে মুমিনের জীবন। যে জীবন বদলে দেয় পুরো সমাজ ও দেশ। মানুষের মাঝে ফিরিয়ে আনে শান্তি-শৃঙ্খলা। যার অনুপম আদর্শ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। আল কোরআন ছিল তাঁর পথ নির্দেশক। মানুষের মাঝে সেই কোরআন রয়েছে। রয়েছে রাসূলের হাদিস। নেই শুধু এঁর বাস্তবায়ন। যদি সেটিই থাকতো, পৃথিবীর কোনো শক্তির সাহস ছিল না রাসূল (সা.) এঁর সম্মানের উপর আঘাত হানার। তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার। কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলার। একজন মুমিন কখনো কোরআনের অবমাননা মেনে নিতে পারে না। পারে না রাসূল (সা.) এঁর অপমান সহ্য করতে। তাই যখনই রাসূল (সা.) এঁর অবমাননা করা হয়, কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়, মুসলমান চুপ থাকে না। রাসূল (সা.) এঁর মহব্বত ও আল্লাহর ভালোবাসা তাদের ব্যথিত করে তোলে। এ অবস্থায় তাদের জেগে ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাইতো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন,‘রাসূলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন, মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রাসূলের দুশমন।’ এখন এক সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে মুসলমানগণ। নিজেদের মধ্যে বিভেদের দেয়াল তুলে তারা এখন প্রশ্ন বাণে জর্জরিত। ইসলাম আজ নানা ষড়যন্ত্রের শিকার। ব্যঙ্গ করা হচ্ছে হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে। অবমাননা করা হচ্ছে কোরআনের। এই প্রেক্ষিতে যখন মুসলিম বিশ্ব উত্তাল হয়ে উঠে তাদের নামের সামনে-পেছনে জড়িয়ে দেওয়া হয় নানা অপবাদ। সময় এসেছে জেগে উঠার। যে জাগরণ হবে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অনবদ্য আবিষ্কারের। তাহলেই টিকবে মুসলমানদের অস্তিত্ব। প্রমাণিত হবে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব। তলোয়ার দিয়ে কখনো ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে কখনো কখনো অশান্ত সমাজের উচ্ছৃঙ্খল মানুষগুলোকে নিয়মের বেড়ি পরাতে মুসলমানদের তরবারি হাতে তুলে নিতে হয়েছে। কিন্তু মানুষের মনে ইসলাম জায়গা করে নিয়েছে কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব। রাসূল (সা.) এঁর অনুপম আদর্শ দিয়ে। ইসলাম কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি। গ্রহণ করেনি কোনো একপেশে নীতি। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে ইসলাম এক দৃঢ়তার নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মরু আরবের যাযাবর মানুষগুলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হয়েছে। যে ইসলাম দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছে সাম্যের বাণী। শান্তির বার্তা। সেই মুসলমানরা আজ ঘুমিয়ে পড়েছে। দুনিয়া তাদের গ্রাস করেছে। ইমানি তেজ হারিয়ে আজ তারা পরিণত হয়েছে যুগের অবহেলিত মানুষে। এই সুযোগে মুসলিম বিদ্বেষী শক্তিগুলো একের পর এক ইসলামের উপর আঘাত হানছে। প্রশ্নবিদ্ধ করছে শান্তির ধর্ম ইসলামকে।
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বন্ধুমহলে তিনি আশিক মিজান নামেও পরিচিত। অবশ্য লেখালেখির ভুবনে তিনি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। তাঁর জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৫ নভেম্বর, পিরোজপুর সদর উপজেলার খানাকুনিয়ারী গ্রামে। মা জামিলা খাতুন বাবা মুজিবুর রহমান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন পিরোজপুরে। আরবি ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ছাত্রজীবন থেকে জাতীয় দৈনিকে প্রবন্ধ লিখলেও ছড়া, কবিতা ও গল্প লেখার শুরু কর্মজীবনে। দৈনিক ইত্তেফাকের শিশুসাহিত্য বিভাগে লেখার মধ্য দিয়ে প্রবেশ সাহিত্যজগতে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একজন সফল লেখক হিসেবে ইতিমধ্যে তিনি পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন । দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’তে লিখছেন শিক্ষা নিয়ে। দৈনিক ‘নয়া দিগন্ত’ ও ‘ইত্তেফাক’-এর বিভিন্ন বিভাগেও লেখালেখি করছেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে তাঁর আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাসিক প্রকাশনা অগ্রপথিকেও তিনি নিয়মিত লিখেছেন। লিখছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত শিশু পত্রিকায়। তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখান, স্বপ্ন দেখাতে পছন্দ করেন। কারণ, স্বপ্নের মাঝে লুকিয়ে থাকে আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ।