ব্যাংকিং ব্যবস্থা : আমাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা আর্থিক খাতকে একটি দেশের অর্থনীতির নার্ভ সেন্টার বলা হয়। আর এই খাত মূলত ব্যাংকনির্ভর। ব্যাংককে বলা হয় অর্থনীতির ধারক ও বাহক। যেখানে আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থা বলতে সাধারণত একধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়। যে প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের সঞ্চয় সংগ্রহের মাধ্যমে পুঁজি তৈরি করে এবং সেই পুঁজি বিনিয়োগ করে। ব্যাংকের এই লেনদেনপ্রক্রিয়াটি পুরো আর্থিক খাতকে সচল রাখে। আর তাই ব্যাংক হলো একটি দেশের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। বিশেষ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পুঁজিবাদী অর্থনীতি। আর পুঁজি ব্যবস্থাপনায় আমরা এখন যে পর্যায়ে আছি, তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। যদিও এটা স্বীকার করতে হবে যে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থান অনেক ভালো। কিন্তু এখানে পৌঁছাতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। তাই পেছনে তাকানোর সময় নেই।এখন এগিয়ে যেতে হবে।আমাদের সামনে যে সমস্যা ও সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ ব্যাংককে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। কীভাবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি, সেটা নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে।
শরীফ নাফে আচ্ছাবের এর জন্ম ১৯৮৫ সালের ০৮ মে, ঢাকার মাতুলালয়ে।পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোনায়।যদিও শৈশব-কৈশোরে বেড়ে উঠেছেন ময়মনসিংহে। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে জাতীয় দৈনিকে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে একটি বেসরকারি ব্যাংকে যোগদান করেন।তিনি একইসাথে ছড়া,কবিতা,ছোট গল্প, উপন্যাস,প্রবন্ধ ও অর্থনীতির মতো বিষয় নিয়েও লিখেন। পাশাপাশি একজন সফল অনুবাদ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছেন।লেখালেখির সুবাদে ছাত্রজীবন থেকেই স্থানীয়,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।যদিও পেশায় তিনি ব্যাংকার সেইসাথে একজন গল্পেরও মানুষ। আর সেজন্য সবকিছুর পরও তার কাছে লেখালেখিই প্রাদান্য পেয়েছে।