আলোচ্য গ্রন্থটির বিষয়বস্তু হচ্ছে মুনতাসীর মামুনের বঙ্গবন্ধু চর্চার বৈশিষ্ট্য মূল্যায়ন করা। তিনি ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২৪টি গ্রন্থ ও প্রায় ৩০টি প্রবন্ধ রচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মুনতাসীর মামুনের রচনাগুলি মৌলিক ও গবেষণাধর্মী। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত গ্রন্থসমূহে আমরা বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের ইতিহাস খুঁজে পাই। মুনতাসীর মামুন যে কেবল বঙ্গবন্ধুকেন্দ্রিক মুখ্য রাজনৈতিক ইতিহাস আলোচনা করেছেন তা নয়, বঙ্গবন্ধুর সামান্যতম সংশ্লিষ্টতা ছিল এমন ঘটনাবলিও তিনি উল্লেখ করেছেন। মুনতাসীর মামুন ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যেসব গ্রন্থ ও প্রবন্ধ লিখেছেন তা থেকে বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবনের একটি চিত্র পাওয়া যায়। তবে মুনতাসীর মামুন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-নীতি, সংগ্রামী জীবন ও রাজনীতিকেই তাঁর গ্রন্থগুলোতে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাসের কথা মুনতাসীর মামুন যেভাবে পাঠক সমাজের সামনে উপস্থাপন করেছেন এমনটি অন্যের লেখায় পাওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ঙ্গম করতে হলে তাঁর ত্যাগের কথা, তাঁর জেল-জীবনের কথা, বছরের পর জেল খেটেও তিনি তাঁর আদর্শ, নীতি ও লক্ষ্য থেকে এক বিন্দুও বিচ্যুত হননিÑ এসব গুণাবলি পাঠক জানতে পারবেন। মুনতাসীর মামুনের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই পড়ে। বঙ্গবন্ধুর চীন সফর ও তাঁর জীবনে চীন সফরের অভিজ্ঞতার প্রভাবের কথা তিনি যেভাবে বর্ণনা করেছেন অন্যের লেখায় তা পাওয়া যায় না। আগরতলা কাহিনি তিনিই প্রথম বঙ্গবন্ধুর আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে এখন অনেকেই লিখছেন। কিন্তু মুনতাসীর মামুনই তাঁর প্রথম একাডেমিক আলোচনা করেছেন। অন্যরা তা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর শাসনামল (১৯৭২-৭৫)-এর বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায় তাঁর সংকলিত বঙ্গবন্ধু কোষ গ্রন্থে। অন্যেরা এখন তা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বঙ্গবন্ধুর শাসনামল লিখছেন। এভাবে তাঁর বঙ্গবন্ধু চর্চা