প্রত্যেক মুসলিমের জন্যই সাহাবীদের জীবনাচরণ অমূল্য পাথেয়। তাদের মতো হওয়ার চেষ্টাতেই এ উম্মতের সাফল্য নিহিত। তারাই ছিলেন রাসূল সা.-এর অনুসরণ ও অনুকরণে বাস্তব দৃষ্টান্ত। তাদের থেকে আগে বেড়ে দ্বীনের কর্মকান্ড যেমন করা উচিত নয়, তেমনি তাদের ছেড়ে দ্বীনের পথে চলাও অসম্ভব। কারণ তারা ছিলেন দ্বীনের সর্বোচ্চ চ‚ড়ায় অধিষ্ঠিত―যা এখন কেবলই নিচের দিকে নামছে। এই সমস্যা-সংকুল পৃথিবীতে তাদের রেখে যাওয়া পদচিহ্নই আলোর মশাল, দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তির সোঁপান। এ লক্ষ্যেই আমাদের নতুন সংযোজন―ইমামুল উলামা মুআয ইবনে জাবাল রা.। গ্রন্থটি রচনা করেছেন আরবের বিখ্যাত মনীষী শায়েখ আবদুল হামীদ মাহমূদ তহমায রহ. (১৯৩৭-২০১০)। সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া এই ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখকের জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ শিক্ষকতায় কাটিয়ে দিয়েছেন। আর রচনা করেছেন কালজয়ী কিছু গ্রন্থ। এ গ্রন্থটিতেও তিনি মুআয ইবনে জাবাল রা.-কে মুসলিম সমাজে নতুনভাবে পরিচয় করে দিয়েছেন। বইটি পড়ে মনে হবে, তাকে আমরা চিনি, খুব কাছ থেকে চিনি―তিনি যেন আমাদের আত্মার আত্মীয়। বক্ষমাণ গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন লেখক ও অনুবাদ পরিবারের সদস্যা আদিবা আফরিন। ইতোপূর্বে মাকতাবাতুল ফুরকান থেকে তার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশিত হয়েছে―মা-বাবার প্রতি সদাচরণের গল্প। পাঠকপ্রিয়তায় সেটি এদেশে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। আশা করি, এ বইটিও এর ব্যতিক্রম হবে না।