"বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু এই উপমহাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মহানায়ক। স্মরণ করলে অত্যুক্তি হবে না যে, পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং সেন্টার (বিবিসি)-এর ২০০৪ সালের এক নির্মোহ জরিপে বঙ্গবন্ধুকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর আত্মজৈবনিক সম্পর্কীয় ৩টি বই যথাক্রমে “অসমাপ্ত আত্মজীবনী" (ইংরেজি ভার্সন The unfinished Memoirs), “কারাগারের রোজনামচা" ও “আমার দেখা নয়াচীন” প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, সংগ্রামের ইতিহাস এবং এর আনুপূর্বিক ইতিবৃত্ত অনাগত প্রজন্মের জ্ঞান আহরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একটি ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির পেছনের ইতিহাস অবগত হতে প্রভূত সহায়তা করবে। আমার ব্যক্তিগত অভিমত-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যত বেশি বই, পুস্তিকা প্রকাশ ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্মরণসভা, আলাপচারিতা হবে, বাংলার বাঙালি ও বিশ্ব ততবেশি উপকৃত হবে, জ্ঞান অন্বেষণে সমৃদ্ধ হবে। “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ” গ্রন্থটি লেখকের অর্ধশত বৎসরের চোখে দেখা ইতিহাস। খুব কাছে থেকে লেখক দেখেছেন বঙ্গবন্ধুর সভা-সমাবেশ, দেখেছেন আন্দোলন সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ। ১৫ আগস্টের পর সৈরাচারের উল্লাস, একুশে আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা স্তব্ধ করে দেয় লেখকের মনোজগতকে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির অংশ না হয়েও নিরপেক্ষ চোখে দেখেছেন রাজনীতিকদের। দেখেছেন পেশাজীবীদের। আর তা-ই তুলে ধরেছেন গ্রন্থে।