বর্তমান গ্রন্থ আমার এম.ফিল অভিসন্দর্ভের মুদ্রিত রূপ। গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার সময় অভিসন্দর্ভটি ঈষৎ পরিমার্জিত হয়েছে। কবিতার প্রতি ভালোবাসা আমার আশৈশব। শৈশবে বাবার কোলে বসে কবিতা শোনার মাধ্যমে সেই ভালোবাসার সূত্রপাত। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়তে এসে ভালোবাসার বৃদ্ধি ঘটেছে। তাই এম.ফিল পর্যায়ে অভিসন্দর্ভের বিষয় হিসেবে কবিতাকে বেছে নিয়েছি। আমার গবেষণা-তত্ত্বাবধায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের বর্তমান ডীন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। ব্যক্তিগত ভালোলাগা থেকেই আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর কবিতাকে অভিসন্দর্ভের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করি। অভিসন্দর্ভের সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়নে স্যারের সুযোগ্য নির্দেশনা ও ওবায়দুল্লাহর কবিতা বিষয়ে তাঁর সুগভীর জ্ঞান ও দার্শনিক পর্যালোচনা আমাকে কাজটি শেষ করতে সহায়তা করেছে। তিনি তাঁর কর্মব্যস্ততার মধ্যেও আমাকে সময় দিয়েছেন। তাই স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ঋণ অপরিসীম। আমার অভিসন্দর্ভের পরীক্ষক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদ ইকবাল এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস। তাঁদের দু’জনের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। অভিসন্দর্ভ রচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষকই আমাকে অনুপ্রেরণা ও সুচিন্তিত পরামর্শ দিয়েছেন। তাই তাঁদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধাসহ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিভাগে কর্মরত আমার সহকর্মী বন্ধুরাও নানা বিষয়ে মতামত দিয়েছেন-তাই তাদের প্রতিও রইল কৃতজ্ঞতা। আর একজনের কথা স্মরণ না করলে নয়-তিনি আমার দাদা (বড় ভাই) শহীদ বিন হোসাইন। তিনি গবেষণার কাজে সম্পৃক্ত প্রয়োজনীয় গ্রন্থ সংগ্রহ করে আমার গবেষণা কাজ সহজ করে দিয়েছেন। গবেষণাকালীন ব্যবহার করেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সেমিনার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গণগ্রন্থাগার। এসব গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সতর্কতা সত্ত্বেও কিছু মুদ্রণ-প্রমাদ এড়ানো গেলো না। আশাকরি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
Title
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর কবিতা : বিষয় ও নান্দনিকতা বিচার