কেন্টের ছায়াময় শান্তিতে ঘেরা এক গ্রাম। অবসরপ্রাপ্ত বয়েসীরা এখানে আসে কর্মময় জীবন সায়াহ্নের শেষ দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণায় মুখর হতে। নাতিপুতিদের ছবি একে অন্যকে দেখিয়ে হয়ে ওঠে উচ্ছ্বসিত। একে অপরের খেয়ালও রাখে ওরা। তবে এলিজাবেথ, জয়েস, ইব্রাহিম এবং রনের কথা আলাদা। জিগ’স কক্ষে তাদের আলাপন শুনলে আপনি অবাক হবেন নিশ্চিত। বাকিদের সাথে এই চারজনের গল্পগুলো মেলে না। পুরনো দিনের অমীমাংসিত রহস্যগুলো নিয়ে তারা থাকে আলাপচারিতায় মত্ত, আবার কখনও রহস্যভেদের তাগিদে ছুটতে থাকে এখান থেকে সেখানে। আবার কখনও বা রস-রসিকতায় মত্ত হয়ে ওঠে ওরা পরস্পরের সাথে। স্থানীয় একজন ডেভেলপার নৃশংস কায়দায় খুন হলো। লাশের পাশে রহস্যময় ছবি। পুরোনো দিনের চারবন্ধু জড়িয়ে গেল অদ্ভুত এক কেসে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই সদস্য। ঘড়ির কাঁটাও জানান দিচ্ছে সময় আর খুব বেশি নেই। টিক টক... টিক টক... টিক টক... যাকে সন্দেহ করা হয়, তার লাশই পাওয়া যাচ্ছে। সমাধিস্থলের এক কবরে পাওয়া দুটো কঙ্কাল পরিস্থিতিকে আরও গোলমেলে করে দিলো। বৃদ্ধ বলে ওদের হেলা করবেন না যেন। আশির কোটায় বয়স চলে এলেও চারবন্ধুর আস্তিনের তলায় এখনও অনেক কৌশল দেখানো বাকি। পাঠক, দ্য থার্সডে মার্ডার ক্লাবে আপনাকে স্বাগতম। কথা দিচ্ছি, এমন গোলকধাঁধায় এর আগে আপনি প্রবেশ করেননি।