ভূমিকা পূর্বেও শেষ শেষার্ধেও শেষ বর্তমানের মুখপানে তাকিয়ে করিও পার। আজকের কথা বড়ই ক্লান্ত কাউকে করিবো না দোষি নিকেকেই বলি ব্যর্থতার গুলি অনেক কষ্টে চলা সিঁড়িতে পা দিল এতে কাউকে তেমন কি বিধাতাকে করিব না দায়ি। এই অদৃষ্টের জন্য মনে হয় নিজেই দায়ি। কারণ বিধাতার কাছে শূন্য হাতে চাওয়ার মত চাইতে পারিনি। আকুতি-মিনতির সাথে বিরাজও করতে পারিনি। যে পথে যাওয়া উচিত যতটুকু করা প্রয়োজন তার অর্ধেক বেশি করে দিলাম। মা-বাবার ছিল না হাজার লক্ষ কোটি টাকা ও ঐশ্বর্য পাহাড় উঁচু। তাই এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি জীবনের চাওয়া-পাওয়া, আশা, স্বপ্ন সব দুঃখ-কষ্ট, বেদনা-যাতনা পরিণত হয়ে পড়ে। ভেঙে গেল মা-বাবার পুষে রাখা জীবনের স্বপ্ন আশা-আকাঙ্ক্ষা। কি হবে আর বেঁচে থেকে সবিতো হারিয়ে গেল নিমিষে তবু যদি হতো মা-বাবার মুখ পানে তাকিয়ে সংসারের লাভ উন্নতি। কি হবে শুধু শুধু অশান্তির আগুন বুকে দিয়ে। এতো দুঃখ কষ্ট জীবনকে এক মুহুর্তে শান্তিতে থাকতে দেয়নি সারা বেলা, সারাক্ষণ মর্গের দুয়ারে এই ক্লান্ত দৃশ্য যেন মা-বাবার শূন্য হৃদয়ে মরতেও পারিনি বাঁচতে পারিনি। নিজেকে করে দায়ি ব্যর্থতার গুলি হারিয়ে গেলাম অজানা রহস্যময় কোন এক তীরে না। তাই বলে ভেবনা নিজেকে নিকেই করেছি হত্যা, না না কোন দিন এমনটি হবে। যত দুঃষ্ট-কষ্ট, বেদনা-যাতনা খাও কনা বুক চিড়ে সান্ত্বনা শুধু বিবেক এই ভেবে লিখে যাচ্ছি অবিরত গল্প, কাহিনী। কারো হৃদয়ে যদি এতটুকু স্থান পাই জীবনে কোন দিন ভুলবনা ভাই। সূচিপত্র * মায়ের গয়না *বস্ত্র নেই *আমার বাড়ি *আমার দেশ *সোনা ভূমি *আশ্রয় *আসব ফিরে *অল্প বয়সের দুটি পাখি *দ্বীন পুজি *পূজনতা *রেখ চরণে *সাথী *মা *মা বাবা দেখিনি *নেই তুমি *প্রতিকুল *দুর্গম *গোলাপী মেয়ে *প্রেম মূল্য *বড় কষ্টের মাঝে আশা *পহেলা বৈশাখ *ভালবাসি *শিমালীল বিচিত্র্য *বন্যা *আশায় থাক *সোনার মাটি *জন্মভূমি অহংকার নয় *হৃদয়ে লেখা আছমা *কবির কবিতা *শেষ ইতি *আজও ভাবি *যৌবন স্বাদ *আহ্বান *সরাইখানা *সান্তনা নেই *গুন রমনী *উপমা *আজ বড় যুবতি
১৯৯৪ সালের ১০ জুলাই নেত্রকোনা দূর্গাপুর মামার বাড়ি আমার জন্ম।বড় ডিগ্রি স্নাতকোত্তর কোনোটাই আমার বড় গুণ নই।গুণ আমার কর্মপ্রতিফলন আর সৃষ্টিশীলতায়।শুধু উপাখ্যান ঘিরে আমি সূচনা দেখতে চেয়েছি। রাজার রাজ্য নিয়ে সবাই অনুসন্ধিৎসু।কিন্তু বেদনায় কাতর নিঃসঙ্গ অসহায়ের পেছনে কেউ ছুটতে চায়না।তাদের কষ্ট নিজ চোখে দেখেও বোঝার চেষ্টা করেনা। আমি বুঝতে বেরিয়েছি। তাই গল্প লেখি, গল্প পুষি। গল্পের জন্যে মহাসমুদ্রে নিজেকে নিক্ষেপ করি। জলতরঙ্গে ভাসতে ভাসতে কথা বলি নদীর সাথে। নদীর বুকে কত গল্প, কত কষ্ট বয়ে চলে নিরবধি। কষ্ট দেখে কষ্ট আমার বাড়ে। তাই নিজে বহুরূপে ব্যবহৃত হয়েছি। কখনো সুইপার হয়ে। কখনো মালীর বেশে। জংশনে জংশনে কুলির পথে পথে। কোনো অফিসিয়ালী লেবারের বেশে ঘাম ঝরিয়ে মান খুঁজি।কোথাও মান খুঁজে পাইনা। মান পেতে এখন দাম দিতে হয়।দামের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কটা খুবই ঘনিষ্ঠ। যাদের অর্থনৈতিক শক্তি রয়েছে তারাই সবচেয়ে দামি এবং মানি ব্যক্তি। আমি আজও সেই মূল্যধরে দাম দিয়েও মান পাইনি।