ফ্ল্যাপে লিখা কথা এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শিপ্রা। অন্য আর এক দশটা মেয়ের মতো বেড়ে উঠবে -এটাই অস্বাভাবিক। কিন্তু শিপ্রার জীবনে তা ঘটেনি। মায়ের অতি সাবধানতা আর নির্দয় আচরণ প্রতিনিয়ত কষ্ট দেয় শিপ্রাকে।লেখাপড়ায় ভালো হওয়া সত্ত্বেও মা-বাবার কাছ থেকে কখনো প্রশংসাবাক্য শুনতে পায় নি শিপ্রা। শুধু মা নন, বাবা এবং বড় ভাইটিও নানাভাবে তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন শিপ্রার প্রতি।
পরিবারের সদস্যদের দুর্ব্যবহার ও অবহেলার কারণে নি পরিবারের বিদ্রোহী মনোভাব গড়ে ওঠে শিপ্রার মনে। এ থেকেই সবার অমতে শিপ্রা বিয়ে করে অর্ধশিক্ষিত কাসেমকে । বাসর রাতেই শিপ্রা বুঝতে পারে কাসেমের সাথে হয়তো জীবন কাটানো যাবে। কিন্তু ভালোবাসা পাওয়া যাবে না। ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয় বাবার কাছে নিজেকে যুগের অনুপযোগী ভাবতে থাকে শিপ্রা। এ সময় ওর সঙ্গে পরিচয় হয় কবি অনিন্দ্য ঘোষালের। ভিন্ন সম্প্রদায়ের অনিন্দ্যর মাঝে মাঝে ভালোবাসার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে আবর স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে সচেষ্ট হয় শিপ্রা। কিন্তু এখানেও ভাগ্য প্রতারণা করে শিপ্রার সাথে।শিপ্রার ছোটবোন এ্যানিকে ভালোবেসে শিপ্রাথে দূরে ঠেলে দেয় অনিন্দ্য। এ সত্যটি ধরাও পড়ে শিপ্রার কাছে । তারপর...........
ভূমিকা ‘একা’ আমার প্রথম উপন্যাস। প্রথম উপন্যাস হিসেবে এটি যে পরিমাণ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছি তাতে আমি খুশি।
প্রথম প্রকাশের সময় উপন্যাসটিতে কিছু বানান ভুল ছিল । এবার সেগুলো সংশোধন করে বইটাকে বানান মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও দু-চারটা বানানা সংশোধন হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে।
এই সংশোধিত সংস্করনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যা করা হয়েছে তা হলো পাঠকদের সমালোচনার ভিত্তিতে উপন্যাসের দু-একটি স্পর্শকারত জায়গায় পরিবর্তন। লেখক হিসেবে আমার লেখা নিয়ে আমি দ্বিধা্দ্বন্দ্বে ভুগি তা নয়। আবার অন্যের মতকে বিবেচনায় নিবো না আমি ব্যক্তিগতভাবে তেমনও না। তাই নিজের মত আর পাঠকের মত মিলিয়েই এই সংশোধন। আশা করি এই সংশোধন উপন্যাসটিতে পাঠকদের কাছে যেতে সাহায্য করবে। লেখক