রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সৌভাগ্যবান তারা যারা আমাকে দেখেছে এবং আমার প্রতি ঈমান এনেছে। আর তারাও সৌভাগ্যবান যারা আমার প্রতি ঈমান এনেছে অথচ আমাকে দেখেনি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসে বুঝাতে চেয়েছেন আমাকে যারা দেখেছে তাদের থেকে আমার কথা শুনে যারা আমার প্রতি ঈমান এনেছে তারাও সৌভাগ্যবান। এই গ্রন্থে সাত্রিশজন তাবেঈর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তারা হলেন: আবু হানীফা রহ., ওয়াস কারনী রহ., হাসান বসরী রহ., সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব রহ., হুসাইন ইবনে আলী রহ., বিলাল ইবনে সাআদ রহ., মুসআব ইবনে যুবাইর রহ. ও উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহ. এবং মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রহ. প্রমুখ। তাবেঈদের মর্যাদা প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত হাদীসটিও বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে আমার যুগের লোকেরা। তারপর তার পরের যুগের লোকেরা অর্থাৎ তাবেঈরা। এরপর তার পরের যুগের লোকেরা অর্থাৎ তাবে-তাবেঈগণ।
এ সময়ের প্রতিভাদীপ্ত লেখক ও অনুবাদক। লেখালেখির জগতে পদার্পণ শৈশবকালেই। শিক্ষা ক্ষেত্রে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করে ২০০২ সালে। জামিয়া ফারুকিয়া করাচি থেকে তিনি তাখাসসুস ফি উলুমিল ফিকহের ডিগ্রি নেন। নাজিরহাট বড় মাদরাসা থেকে সুদীর্ঘ দুই যুগেরও অধিককাল ধরে নিয়মিত প্রকাশিত মাসিক দাওয়াতুল হক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ‘সুচিন্তা’ ও ‘শিকড়’ও তার সম্পাদিত সাময়িকী। এছাড়া নিরলসভাবে লিখে চলেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায়। ১৯৮১ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম নেয়া বরেণ্য এই আলেমের ৪০ টির অধিক বই রয়েছে বাজারে। তাঁর মৌলিক বইয়ের মধ্যে রয়েছেÑ নাফ তীরের কান্না; স্বর্ণযুগের সম্রাট; অপরাধ : উৎস ও প্রতিকার; পুত্রের প্রতি পিতার পত্র ও উপদেশ; আসহাবে কাহাফ; দেহমনের পাপ; পড়ালেখার কলাকৌশল; ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল হারাম।