আমাদের এই ভাঙা-গড়ার হিসেবের জীবনে,জীবন শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ করতে গিয়ে দিগ্বিদিক বিষয়ের কড়া হিসেব দিতে হয় । কখনো কখনো এই হিসেব দিতে গিয়ে উপাত্ত মিলাতে না পেরে ছিটকে পড়ে যাই কিংবা চরম হতাশার মোহে আমগ্ন হয়ে যাই। এই হিসেব সমাধান দেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে "বন্ধু" আবার ওই হিসেব ই গোঁজামিল করে দিতে দায়ী হিসেবে বন্ধুকেই চিহ্নিত করা হয় । - এতোক্ষন তো হিসেব কষতে কষতে খাতা-কলম সবই শেষ করলাম!এবার না হয় মূল কথায় আসা যাক। আপনি যেমন আপনার বন্ধুও তেমন। কী বললেন? শুনেননি? আবার বলছি এবার মন, কান দুটো দিয়ে শুনুন। "আপনি যেমন আপনার বন্ধুও তেমন " দেখুন আমি এমনটা করতে চাইনি, ওর কথা ধরে করেছি। ওর কারনে আজ আমার এই অবস্থা। আপনি ওর দোষ দিচ্ছেন কেন? যার কারনে এমনটা ঘটেছে তার দোষ দিবো না? বুঝলাম, আপনি যদি দোষ না করে থাকেন তবে আপনাকে দোষী করছে কেন? আর আপনার এতো আত্মসম্মান বোধ হলে আপনি এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেন কেন? তখন তো বুঝিনি । বুঝবেন না কেন? আল্লাহ্ আপনাকে বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ করে বানায়নি? ভালো-মন্দের বিচার করা ক্ষমতা আপনার নেই? তা অবশ্য আছে! থাকলে এখন যখন দুই বন্ধুই ইভটিজিং এর মামলা খেলেন একে অপরকে দোষী করার কারন কী? আপনার রুচি যেমন চয়েজ তো হবেই তেমন । এমন সিলেকশান থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন । জীবন সুন্দর, জীবনকে উপভোগ করতে শিখুন। সোলায়মান সুখন ভাইয়ের মতে : সুপার সাকসেসফুল হোন, এর জন্য প্রয়োজনে ইসলাম ও নীতি নৈতিকতার নেপথ্যে যারা তাদের বাচাই করুন, যদি আপনার এমন অভিভূত হয় যে এমন কেউ ই নেই, তবে একা থাকুন, আবার আপনার যদি এও মনে হয় যে একা থাকা আপনার পক্ষে সম্ভবপর না, তাহলে অপেক্ষায় থাকুন, তারপরও এমন বন্ধু বানিয়েন না । যার জন্য পরে পস্তাতে হয়। ইতি কথা : মনে রাখবেন, আপনার মন পাঁজরে যদি ধুলোবালি জমে থাকে তা মোছার জন্য কিন্তু আপনিই যথেষ্ট । তদুপরি, আপনি যেমন আপনার স্বচক্ষে নিজের দোষ-ত্রুটি, ভুল-ভ্রান্তি কম দেখেন, আর অন্যের দোষ-ত্রুটিকে প্রয়োজনে সময়ে সময়ে সুযোগ পেলে চশমা লাগিয়ে দেখেন, ঠিক তেমনি আপনার ত্রুটিবিচ্যুতিগুলো উথাপন করার জন্য হলেও একজন বন্ধু খুঁজুন। আমার বলা আমি বললাম বাকীটা আপনার ইচ্ছে । শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক "বন্ধুত্ব " কথাটি স্বার্থক হোক ।