রুজহানা সিফাত পাঠকের কাছে মূলত ভৌতিক ও রহস্য গল্পের লেখক হিসাবেই পরিচিত। লেখকের প্রকাশিত একক 'কালো দুর্গ', 'ভূতবাড়ির উত্তরাধিকারী' ও অন্যান্য সংকলনে তার লেখা গল্পগুলো তারই প্রমাণ। তবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে তার সামাজিক ঘরানার লেখার পান্ডিত্যে মুগ্ধ। এককথায় বলতে গেলে 'দীপ নেভা দ্বীপ' একজন নারী জুলেখার সুখে দুঃখে সংগ্রামে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে টিকে থাকার পূর্ণাঙ্গ কাহিনি। কিন্তু এত সহজ কথায়ই কি একটি উপন্যাসকে বর্ননা করা যায়? তা যায় না বলেই তো উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জুলেখাকে ঘিরে আবর্তিত চরিত্র স্বামী রইস থেকে শুরু করে সন্তান মুবিন,আমেনা, হামিদ, সলিম, কলিমরা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তাদের ঘিরে যে চরিত্ররা এসেছে শ্রাবনী, স্নিগ্ধা, রোজি, রুহিরাও উপন্যাসযাত্রার বিভিন্ন বাঁককে করেছে সম্মৃদ্ধ। উপন্যাসটিতে আছে প্রেম-বিচ্ছেদ, সংসার-বিশ্বাসভঙ্গ, কৈশরের অবুঝপনায় নিজেকে হারিয়ে ফেলা, স্বামীবিচ্ছেদ ও সন্তান বিচ্ছেদের দুটি ভিন্ন ধরনের হাহাকার, সর্বোপরি প্রলয়ঙ্কারী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাথে যুগ্ধ করেও টিকে যাওয়ার এক দুর্দান্ত গল্প। আছে চরাঞ্চলের মানুষ ও প্রকৃতির অনবদ্য গাঁথা। আছে নাগরিক ব্যস্ততার অনস্বীকার্যতা। আছে নিষিদ্ধ মাদক সাম্রাজ্যের দৌরাত্ম্যের অন্ধকার ছায়া। আছে একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস পাঠের ও তাতে মগ্ন হয়ে থাকার এক অনন্য সাবলীলতা। এরকম একটি রচনা একজন লেখককে পাঠকের ভালবাসায় বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। 'দীপ নেভা দ্বীপ' পাঠকের মনে লেখক রুজহানা সিফাতের কাছে এ ধরনের জীবনমুখী উপন্যাসের চাহিদা বেড়ে যাবে, এই আমার বিশ্বাস। ফৌজিয়া খান তামান্না কথাসাহিত্যিক
সমসাময়িক লেখক রুজহানা সিফাত পেশায় একজন শিক্ষিকা। তার লেখা উপন্যাসগুলো হলো- কালো দুর্গ ভূতবাড়ির উত্তরাধিকারী দীপ নেভা দ্বীপ নরক নগরী লাভলী বোর্ডিং বারুদের দিনরাত্রি তার লেখা লেখা প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। বান্ধাজিন তার লেখা প্রথম ভূত সংকলন