পর্দা কেন করতে হবে? পর্দা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। পর্দার বিষয়ে মহান আল্লাহ তা'আলা সকল শ্রেনীর ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আদেশ করেছেন, তিনি যেন তার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে এবং মু'মিন নারীদেরকে চাদর দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার আদেশ দেন। পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক এবং পবিত্রতার একমাত্র উপায়। নারীকে হাদিসে 'আওরাত' বলা হয়। 'আওরাত' শব্দের অর্থ - গুপ্ত বা আবৃত। সুতরাং নারী'র নামেই বুঝা যায়- নারীর জন্য পর্দা আব্যশ্যকীয়। পারিপার্শ্বিকতার বিবেচনায় বিবেকের দাবীও তাই। তেমনি শরী'আতে নারীর জন্য পর্দাকে ফরজ করা হয়েছে। বিয়ের জন্য কি বলা হয়েছে নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্ব যেমন ইবাদত, তেমনি মুসলিম পুরুষ ও নারীর বিবাহও একটি ইবাদত। প্রত্যেকটি ইবাদতের জন্য সুনির্ধারিত নিয়ম-নীতি রয়েছে। তেমনি বিবাহের ক্ষেত্রে শরী’আ কর্তৃক সুনির্ধারিত নিয়ম-নীতি আছে। যে বিবাহ শরী’আ ও সুন্নাহ অনুযায়ী হবে, সেটা ইবাদতরূপে গণ্য হবে। বরকত ও কল্যাণে পরিপূর্ণ হবে। পক্ষান্তরে যে বিবাহ সুন্নাহ বিরোধী পন্থায় হয়ে থাকে। যদিও তাতে বিবাহ হয়ে যাবে এবং স্বামী স্ত্রী একে অপরের জন্য হালালও হবে কিন্তু যে বরকত ও কল্যাণ শরী’আ ও সুন্নাহ অনুযায়ী সম্পাদিত বিবাহের মধ্যে মহান আল্লাহ রেখেছেন এ বিবাহ তা থেকে বঞ্চিত হবে।