শুনি মানুষ সোনার চামচ, রুপোর চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়। কথাগুলোর মধ্যে ধনী-দরিদ্রের ভেদ বড় হয়ে বুঝেছি। আমি দেশের দরিদ্র অঞ্চল জামালপুরের ঝিনাই নদীর ঝিনুক মুখে নিয়ে জন্মেছি। তারপরও ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত আমাদের সরিষাবাড়ী রানী দিনমনি মডেল হাই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রিসের জ্ঞানী-গুণীদের কথা পড়ে আমার এথেন্সে যেতে ইচ্ছে করে। তখন শুনেছিলাম গ্রিস দেশে অনেক দিন ধরে জাহাজে চড়ে যেতে হয়। এখন আমার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। তবে আমি গেছি প্লেনে করে। একটি কবিতা উৎসবে গিয়ে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট হয়ে এথেন্সে। এভাবে সামান্য কিছু কবিতা আর সামাজিক বিষয়ে গবেষণা-প্রবন্ধ লিখে আমেরিকা, ইউরোপ, ভারত, চীন, জাপান, ভ্যাটিক্যানসহ ১৮টি দেশ আমার ভ্রমণ করা হয়েছে। একাধিকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াতে, গবেষণার কাজে ও কবিতা পড়তে গিয়েছি। প্রধানত ভারত, আমেরিকা, সুইডেন, নরওয়ে, চীন ও ইতালিতে আমন্ত্রিত হয়ে কবিতা পড়া, দেশ দেখা; কবি শামসুর রাহমান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়; জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী, রফিক আজাদ, সমুদ্র গুপ্তসহ কয়েকজন পূর্বসূরির স্মৃতিচারণ ও অন্যান্য লেখা নিয়ে রচিত এমন একটি গ্রন্থ আমার হবে তা ভাবনার মধ্যে ছিলো না। বলা আবশ্যক যে, ‘চিংহাই লেক ইন্টারন্যাশনাল পোয়েট্রি ফেস্টিভ্যাল’, ‘কবিতা, সম্প্রীতি ও ইতালি ভ্রমণ’ এবং ‘সার্ক সাহিত্য উৎসবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি’ শিরোনামের লেখা তিনটি লিখতে ইন্টানেটের সৌজন্যে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা সম্ভবপর হয়েছে। লেখাগুলো পড়ে পাঠকের মনে কল্পনা শক্তির উদ্রেক করুক এই ভাবনা থেকে বর্তমান গ্রন্থে আমি ছবি প্রকাশ থেকে বিরত রইলাম।