আটাশির সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকের ঘটনা। নরওয়ের টরমজো বিশ্ববিদ্যালয় খেে কমিউনিটি অপথ্যালমোলজির ওপর বক্তৃতা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণপত্র এলো আমার কাছে। কিন্তু এমন এক সময় তা পেলাম যখন বাংলাদেশ প্রলংয়করী বন্যায় আক্রান্ত। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ জলবন্দী। প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় ফুটে উঠেছে দূর্গত মানুষের হাহাকার। এই প্রলংকরী বন্যা বিত্তবান আর বিত্তহীনদের একই কাতারে এনে ফেলেছে। অনেকের টাকা-পয়সা নেই, অর্থের অভাবে কিনতে পারছে না খাবার। আবার টাকা-পয়সা থাকলেও শুধুমাত্র রান্না করার মতো জায়গার অভাবে বাড়ীর কাজের লোককে দিয়ে নিকটস্থ কোন রিলিফ ক্যাম্প থেকে খাবার আনিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। দেশ জুড়ে এই ভয়াবহ বন্যা দেখে বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে প্রতিটি নাগরিকের মতো স্বাভাবিকভাবে আমিও তখন চিন্তিত। একটি বিদেশী ম্যাগাজিনে 'গ্রীন হাউস ইফেক্ট' নামে এক প্রতিবেদনের মোটামুটি প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো গাছপালা নির্বিচারে ধ্বংস করার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থা এমন এক পর্যায়ে এসে ঠেকেছে যে বন্যা এখন প্রতিবছরের নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে এবং আস্তে আস্তে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জায়গা বলতে গেলে সারা বছরেই পানির নীচে থাকবে। প্রতিবেদনটির যৌক্তিকতা আমাকে এতোই আকৃষ্ট করে যে আমার মনে হয়, লোকসংখ্যা যে তাবে বাড়ছে আর অন্যদিকে 'গ্রীন হাউস ইফেক্টের' ফলে মানমের