ইসলাম পর্দাকে ফরজ করেছে এক মহান উদ্দেশ্যে। এর উপকারিতা অপরিসীম। পর্দা এমন একটি ইবাদত যাতে রয়েছে সৌভাগ্য। পর্দার সৌন্দর্য ছেয়ে যায়, ছাপিয়ে যায় সকল সৌন্দর্যকে। যেসব মা-বোনেরা পর্দা করে চলে তারা এক অপার্থিব তৃপ্তির আবহে সময় কাটায়। সবকিছুতেই তারা খুঁজে পায় সুখ-শান্তি ও অনাবিল তৃপ্তি। যা অন্য সকল জাগতিক প্রশান্তিকে ভুলিয়ে দেয়। নারীদের জন্য আল্লাহ তাআলা পর্দাকে ফরজ করেছেন, নারীরা যাতে নিজেকে, নিজের রূপ-লাবণ্যকে আড়াল করে রাখতে পারে পর-পুরুষ থেকে, তার সতীত্বের দুশমন থেকে। মানবতার হিংস্র নেকড়েদের কাছ থেকে। সতীত্ব ও পবিত্রতার শত্রুদের থেকে। তাদের কাছ থেকেও যারা নারীর দিকে তাকায়, লোভাতুর ও কামাতুর দৃষ্টিতে, ভেতর যাদের আঁধারঘেরা, দুর্গন্ধময়। নারী ইসলামের এই পর্দাকে যতো বেশি আঁকড়ে ধরবে ততো উচ্চতায় তার স্থান হবে। সেই উচ্চতায় বসে বসে নারী সুবাস ছড়াবে সুকুমারবৃত্তির, অনাবিলতার, স্বর্গীয় জ্যোতিধারার। ইসলাম পুরুষদের সাথে মহিলাদেরকে পর্দার বিধান দান করেছে যেন তারা একটি মূল্যবান জহরত, সুরক্ষিত রত্ন হিসেবে রক্ষিত থাকে। সেখানে কোনোদিন পৌঁছতে পারবে না কোনো পঙ্কিল হাতের অসুন্দর স্পর্শ। কোনো বিশ্বাসঘাতকের অসংযত পা।