ভূমিকা কৌতূহল যেখানে ভাবনাও সেখানে। আমাদের চারপাশে যত কিছু ছড়িয়ে আছে,নিত্য যা দেখাতে পাই ,নিয়মিত যা কাজে লাগাই গাছপালা, আকাশ -বাতাস,সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ- তারকা-কম-বেশি কৌতূহল যেমন আছে এদের নিয়ে ,কেউ ব্যতিক্রম নয় , কাউকে বাদ দেওয়া যায় না। , তেমনি একটা কৌতূহল বার বার থেকেই যায় আমাদেরে নিজের শরীর এবং স্বাস্থ্য নিয়েও । এই যে শরীর,শয়নে ,স্বপনে, জাগরণের কাজ করে যাচ্ছে অবিরত। এই শরীরও কখনও কখনও ভাবায় এবং ভোগায়। শরীরের ভিতরে যে কি বিপুল কর্মযজ্ঞ চলেছে, সুস্থ্য শরীর তা বুঝতে দেয় না। কিন্তু শরীর অসুস্থ হলেই মুশকিল। আজ রোগের পরিমণ্ডল বড় হতে হতে এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে , তার সীমা খুঁজে পাওয়া কঠিন। নতুন নতুন রোগ দেখা দিচ্ছে নান রকমের উপসর্গ নিয়ে । পুরনো রোগের ক্ষেত্রে উপসর্গে্র ধরণ ধারণ বদলেছে। রোগের নানাবিধ জটিলতার জন্যে ডাক্তাররা আজ পাঁচ রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে না গিয়ে কোন কথা বলতে চাননা। আজ বিজ্ঞানের কল্যাণে পৃথিবী অনেক ছোট হয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে জীবনে এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য। কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্য শুধু একা আসে না। সঙ্গে নিয়ে আসে সমস্যাও। আজ হাজারো সমস্যার বাণ আমাদের বিদ্ধ করছে চারপাশ থেকে। লোকসংখ্যাও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে দিনে দিনে। নিশ্বাসে আমরা বিষ টানছি। চারপাশে লোকজন,হৈ-চৈ খোলা জায়গা, ফাঁকা মাঠ, নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। মনের ওপর চাপ পড়ে, মন খারাপ হয়ে যায়। এদিকে শরীরও আর বইতে চায় না। ভাল খাবার দাবার খেলে শরীর অনকেটা ভাল হয় ঠিকই , কিন্তু যে শাকসবজি আমাদের বাজারে ওঠে তাতেও পরিবেশের ছাপ পড়ে , ভেজাল এসে সেখানেও বাসা বাঁধে। ডা. শামীম সুলতানা