ভূমিকা যেকোনও সাধারণ লোকই প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাপারে শিক্ষা লাভ করতে পারেন।প্রতিটি মানুষেরিই প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকা উচিত। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসক একজন পূর্ণ চিকিৎসক নন তবুও তিনি তার কর্তব্যবোধ ও উপযুক্ত বিচার বিশ্লেষণ দ্ধারা দুর্ঘটনা ও অসুস্থ্য মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের উপকার করতে পারেন।স্বাস্থ্য মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। স্বাস্থ্যের প্রতি সবার দায়িত্ব ও কর্তব্যও আছে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে কমবেশি জ্ঞান সবারই থাকা উচিত। এতে করে অনেকে বাড়িতে বসে কম সময়ে কম খরচে সমস্যা এড়াতে এবং সারিয়ে তুলতে পারবেন। রোগ হলে ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে।কিন্তু সব সময় চিকিৎসক হাতের কাছে পাওয়া যাবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ সাধারণ মানুষ যদি তার স্বাস্থ্যের জন্য কি কি দরকার এবং কোনটা আগে দরকার সেটা নিজে থেকে বুঝতে পারে, তবে অনেক ক্ষেত্রে নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করতে পারবে। তবে নিজে ক্ষমতার বাইরে কিছু করাটা ঠিক নয়।আমাদের দেশে নারী ও শিশু মৃত্যুহার অত্যন্ত বেশি।উপযুক্ত সময়ে সঠিক জ্ঞানের অভাবে আমাদের দেশের বহু মা ও শিশু অকালে প্রাণ হারায়।মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা জাগিয়ে তোলা এবং সুস্থাস্থ্য গড়ে তোলা আমাদের সবারই লক্ষ্য কাম্য হওয়া উচিত।‘নিজে নিজে প্রাথমিক চিকিৎসা’ বইটিতে কিঞ্চিত ভুলকভ্রান্তি থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আশা করি পাঠকগণ তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।সেই সাথে বইটি যদি আমাদের এই দরিদ্র দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণে আসে তবে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে বলে আমি মনে করবো। ডা. আজিজুল হক খান