জাহিলী যুগের মতো বর্তমানেও নারীজাতি নির্যাতনের শিকার; তবে বর্তমানে নির্যাতনের ধরন ভিন্নতর। সমতার চটকদার শিরোনামে নারীদেরকে বিভিন্ন অফিস-আদালত, দোকান ও হোটেলের শোভা বানিয়ে পণ্যে রূপান্তরিত করা হয়েছে। নারী স্বাধীনতার প্রতারণামূলক শ্লোগান দিয়ে নারীত্বকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। ঘরের অভ্যন্তরে পারস্পরিক অধিকার ও দায়-দায়িত্ববোধ ধ্বংসের কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। অথচ পারিবারিক জীবন হচ্ছে সমাজের মূল ভিত্তি। যার ফলে রাষ্ট্রের দ্রুত বৈষয়িক উন্নতি সত্ত্বেও গণমানুষের দুশ্চিন্তা, দুর্দশা, ব্যাকুলতা ও দুর্ভোগের অন্ত নেই। উল্লিখিত বিষয়ে আপনি যদি ইসলামী উপদেশ ও শিক্ষার প্রতি লক্ষ করেন, তাহলে দেখতে পাবেন- ইসলাম নারীদেরকে নৈতিক, আইনগত ও মানবিক দিক দিয়ে পুরুষের সমান স্থান দিয়েছে। তাকে সমাজে পরিপূর্ণ সম্মান ও ইজ্জত দিয়েছে। তবে, মর্যাদার দিক থেকে নারীকে কখনো মা হিসেবে পুরুষের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। আবার কখনো পুরুষকে স্বামী হিসেবে স্ত্রীর ওপর অভিভাবকত্বের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ইসলামের এই তত্ত্বের পরীক্ষণের জন্যে “কুরআন কারীমে নারী” গ্রন্থের অবতারণা। এতে ইসলামে নারীর অবস্থান, অধিকার ও কর্তব্য-সংশ্লিষ্ট সকল প্রয়োজনীয় মৌলিক বিধি-বিধান, পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনের পথপ্রদর্শক ইসলামী রীতি-নীতিসহ, সংশ্লিষ্ট আয়াতসমূহের বিশুদ্ধ তাফসীর, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে।