নতুন প্রকাশিত হতে যাওয়া কোনো বইয়ের ভূমিকা লেখার একটা রীতি দাঁড়িয়ে গেছে। কাব্যাংগনে কবিযশোপ্রার্থী একজন হয়তো এমন প্রত্যাশা করেন যে,খ্যাতনামা কেউ যদি একটা ভূমিকা লিখে দেন তাহলে তিনি বা তাঁর লেখাটা গুরুত্ব পেতো। একজন নবীন লেখক এমন ভাবতেই পারেন। এর মধ্যে অসংগতি কিছু নেই। সব লেখার ভূমিকা নিষ্প্রয়োজন। কারণ, তাঁর নিজের লেখাটাই তো তাঁর রুচির, তাঁর ব্যক্তিত্বের,তাঁর চিন্তাভাবনার, তাঁর প্রস্তুতির ম্মারকচিহ্ন হয়ে মুদ্রিত হয়ে আছে কালো অক্ষরে। কাব্যগ্রন্থের বেলায় ভূমিকা লেখাটা দুষ্কর। কারণ, কবিতা শেষ পর্যন্ত কী, সেটা বলতে পারাটাই তো মুশকিল।আর বুঝে ওঠা আরো মুশকিল। কেননা,কবিতা শেষ পর্যন্ত অধরাই থেকে যায়।এবং ওটাই বোধহয় কবিতার আসল সৌন্দর্য। কবি ফয়জিয়া নূর বেশ কিছুদিন থেকে কবিতা লিখছেন। লিখছেন নীরবে। নিভৃতে। কবিতাচর্চার জন্য একটু বাড়তি নীরবতা, নিভৃতি লাগেই। অধিকাংশ কবির মতোই কবি ফয়জিয়া নূরের কবিতার বিষয় প্রেম। এটা কোনো সমস্যা নয়। কারণ,কথা পৃথিবীতে পুরাতনই। কিন্তু যখনই কেউ বলে তখন নিজের মতো করেই বলে।আর তখন কথা পুরাতন থাকে না, নতুন কথা হয়ে যায়।এই নতুন কথা বলতে পারা,লিখতে পারাটাই জরুরি।তিনি তা বলতে পেরেছেন। কবি ফয়জিয়া নূরের কাছে প্রেমের আবেদন স্বাভাবিক জীবনযাপনের মতোই সাধারণ। ভালোবাসার স্পর্ধায় কবির দর্পিত উচ্চারণ প্রতিটি লাইনে। দূরন্ত আষাঢ়ে মেঘ মাথায় নিয়ে প্রেমাচ্ছন্ন হয়ে কবি ছুটে চলেছেন তার প্রেমাষ্পদের কাছে। এই কবিতাগুলোয় সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে প্রেমের জয়গান, জয়যাত্রাই ঘোষিত হয়।