বিড়ালের সাথে জাদুবিদ্যা আর অতিপ্রাকৃতের সম্পর্ক সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই প্রসিদ্ধ। প্রাচীন মিশরীয়রা বিড়ালকে মনে করত ইহজগত আর পরজগতের মধ্যকার প্রতিনিধি। আমাদের চেনা জগতের জাগতিক পর্দার আড়ালে লুকোনো অতিপ্রাকৃত জগতও তাদের চোখে ধরা দেয়। আঁধারের পর্দার আড়ালে থাকা মায়াবী জগতের রহস্যঘেরা অবয়ব তাদের সামনে মূর্ত হয়ে ওঠে। বাতাসে মিশে থাকা অশরীরী কন্ঠস্বর তাদের কানে কানে বলে যায় সহস্রাব্দ প্রাচীন গুপ্তধনের ঠিকানা, কোথায় লুকানো আছে অমরত্বের চাবি, কি করলে পাওয়া যাবে সমস্ত মানবজাতিকে নিজের দাসে পরিনত করার ক্ষমতা… আর এই সবই একজন মানুষের পক্ষেও অর্জন করা সম্ভব। যদিও সে যাত্রা অতি ভয়ানক। ব্যর্থ হলে আছে ভয়াবহ যন্ত্রণাময় মৃত্যুর ভয়। তবু মল্লিক সাহেব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি বিড়াল সাধনা করবেন। এবার সফল না হলে তাঁর জীবনের সমস্ত অর্জন শেষ হয়ে যাবে। তাঁর পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যাবে। মল্লিক সাহেব নিশ্চিত নন পথের শেষে তাঁর জন্য কি অপেক্ষা করছে। তবুও তিনি এই ভয়াবহ কঠিন, বিপজ্জনক অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়িয়েছেন, তাঁর সামনে দ্বিতীয় কোনও পথ খোলা নেই … বিড়াল সাধক নিয়ে আলাদা করে কিছু কথা বলার আছে, বাংলা সাহিত্যে বডি হরর নিয়ে কাজ অনেক অনেক হয়েছে বলা যাবে না সেক্ষেত্রে বিড়াল সাধক বইটা স্বকীয়তার একটা জায়গা রাখে। আর সেই সাথে এটি একটি সফল অকাল্ট থ্রিলার। কুহকের গত বছরের পান্ডুলিপি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উঠে আসা এই বইটি নিয়ে আমরা যারপরনাই অশাবাদি। আমাদের সাথেই থাকবেন