তত্ত্বতালাশ দ্বিতীয় সংখ্যা সময়মতো প্রকাশিত হল। এজন্য এ সংখ্যার প্রাবন্ধিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রথম সংখ্যার মতো এ সংখ্যায়ও কলা এবং সমাজবিদ্যার তুলনামূলক ‘সাহিত্য’ধর্মী অংশেরই প্রাধান্য বজায় থাকল। গণিত ও আইন-বিষয়ক দুটি প্রবন্ধ বিষয়-পরিধিকে খানিকটা প্রসারিত করেছে। এ ধরনের বিষয়গত প্রসারই আমাদের লক্ষ্য। ওয়াল্টার বেনজামিন ‘যান্ত্রিক পুনরুৎপাদনের যুগে শিল্পকলা’ প্রবন্ধে প্রসঙ্গক্রমে লিখেছেন, বইয়ের উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যে এককালে আসমান-জমিন তফাত ছিল। কেউ কেউ ছিল উৎপাদক, আর বাকিরা শুধুই ভোক্তা। কিন্তু আধুনিক জমানায় এ অবস্থার বৈপ্লবিক বদল ঘটে। শুরুতে সংবাদপত্রের পাঠক-কলামে যে-কেউ লেখক হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার মওকা পায়। আর পরে, ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশাদারত্ব বিকশিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে মোটামুটি দায়িত্বশীল কাজে নিয়োজিত যে-কারো গুরুত্বপূর্ণ লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ তৈরি হয়। বিভিন্ন ডিসিপ্লিন ও পেশা সম্পর্কে জরুরি বহু বই লিখেছেন এমন ব্যক্তিরা, যাদের আলাদা করে লেখক হওয়ার অনুশীলন ও ইচ্ছা ছিল না। আর এভাবে লেখক-পাঠকের পূর্বতন অধীনতামূলক সম্পর্কের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন আসে। তত্ত্বতালাশ দ্বিতীয় সংখ্যা সময়মতো প্রকাশিত হল। এজন্য এ সংখ্যার প্রাবন্ধিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রথম সংখ্যার মতো এ সংখ্যায়ও কলা এবং সমাজবিদ্যার তুলনামূলক ‘সাহিত্য’ধর্মী অংশেরই প্রাধান্য বজায় থাকল। গণিত ও আইন-বিষয়ক দুটি প্রবন্ধ বিষয়-পরিধিকে খানিকটা প্রসারিত করেছে। এ ধরনের বিষয়গত প্রসারই আমাদের লক্ষ্য। ওয়াল্টার বেনজামিন ‘যান্ত্রিক পুনরুৎপাদনের যুগে শিল্পকলা’ প্রবন্ধে প্রসঙ্গক্রমে লিখেছেন, বইয়ের উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যে এককালে আসমান-জমিন তফাত ছিল। কেউ কেউ ছিল উৎপাদক, আর বাকিরা শুধুই ভোক্তা। কিন্তু আধুনিক জমানায় এ অবস্থার বৈপ্লবিক বদল ঘটে। শুরুতে সংবাদপত্রের পাঠক-কলামে যে-কেউ লেখক হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার মওকা পায়। আর পরে, ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশাদারত্ব বিকশিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে মোটামুটি দায়িত্বশীল কাজে নিয়োজিত যে-কারো গুরুত্বপূর্ণ লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ তৈরি হয়। বিভিন্ন ডিসিপ্লিন ও পেশা সম্পর্কে জরুরি বহু বই লিখেছেন এমন ব্যক্তিরা, যাদের আলাদা করে লেখক হওয়ার অনুশীলন ও ইচ্ছা ছিল না। আর এভাবে লেখক-পাঠকের পূর্বতন অধীনতামূলক সম্পর্কের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন আসে।
প্রাবন্ধিক ও গবেষক। জন্ম ২৩ আগস্ট, ১৯৭৫ নোয়াখালীর হাতিয়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে এমএ এবং পিএইচডি। বর্তমানে ওই বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। পিএইচডি গবেষণার বিষয় ‘বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন ও বি-উপনিবেশায়ন’। আগ্রহের বিষয় সাহিত্য, নন্দনতত্ত¡, ইতিহাস, রাজনীতি ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন। ছোট-বড় শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। অনুবাদ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তাত্ত্বিক রচনা। প্রকাশিত গ্রন্থ বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন ও রবীন্দ্রনাথ [২০১৯]; বাংলা ও প্রমিত বাংলা সমাচার [২০১৯]; কবি ও কবিতার সন্ধানে [২০২০]; হুমায়ূন আহমেদ : পাঠপদ্ধতি ও তাৎপর্য [২০২০]; বিষয় সিনেমা : তিনটি অনূদিত প্রবন্ধ [২০২০]। সম্পাদিত গ্রন্থ নির্বাচিত কবিতা : সৈয়দ আলী আহসান [২০১৬]