এই অনাত্ম সংসারে- এক হাতে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে অন্য হাতে গোলাপ ফোটানোর সাধনা তার নাম- কবিতা-জীবন প্রতিহিংসার শরশয্যায় রক্তাক্ত হয়েও ভীষ্মের মতো অহিংসার কপোত ওড়ানোর চেষ্টা তার নাম- সাহিত্য-সাধনা।br শিল্প-সাহিত্যের সাধনা অপরিমেয় ধৈর্য ও ধী-ঐশ্বর্যের সাধনা; সত্য ও সুন্দরের সাধনা; সীমার মাঝে অসীমের সাধনা। শিল্প-সাহিত্যের শীর্ণ তরীতে সওয়ার হয়ে একজন শিল্পী অকূল-সাগরে পাড়ি জমান; রূপের মাঝে অরূপের সন্ধান করেন। কুমার দীপের কবিতাও রূপের মাঝে অরূপকে সন্ধানেরই নান্দনিক প্রয়াস; জীবনকে সৌন্দর্যের দর্পণে দেখে নেওয়ার আকাক্সক্ষা। ‘কালান্ধ নূপরের ধ্বনি’র মোড়কে অন্তর্ভূক্ত কবিতাগুলো কাল থেকে কালান্তরের যন্ত্রণাময় অভিব্যক্তিকে অনিন্দ্য কাব্যসুষমায় ধারণ করবার চেষ্টা। এই অনাত্ম সংসারে- এক হাতে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে অন্য হাতে গোলাপ ফোটানোর সাধনা তার নাম- কবিতা-জীবন প্রতিহিংসার শরশয্যায় রক্তাক্ত হয়েও ভীষ্মের মতো অহিংসার কপোত ওড়ানোর চেষ্টা তার নাম- সাহিত্য-সাধনা।br শিল্প-সাহিত্যের সাধনা অপরিমেয় ধৈর্য ও ধী-ঐশ্বর্যের সাধনা; সত্য ও সুন্দরের সাধনা; সীমার মাঝে অসীমের সাধনা। শিল্প-সাহিত্যের শীর্ণ তরীতে সওয়ার হয়ে একজন শিল্পী অকূল-সাগরে পাড়ি জমান; রূপের মাঝে অরূপের সন্ধান করেন। কুমার দীপের কবিতাও রূপের মাঝে অরূপকে সন্ধানেরই নান্দনিক প্রয়াস; জীবনকে সৌন্দর্যের দর্পণে দেখে নেওয়ার আকাক্সক্ষা। ‘কালান্ধ নূপরের ধ্বনি’র মোড়কে অন্তর্ভূক্ত কবিতাগুলো কাল থেকে কালান্তরের যন্ত্রণাময় অভিব্যক্তিকে অনিন্দ্য কাব্যসুষমায় ধারণ করবার চেষ্টা।
"কুমার দীপ একজন কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার এবং গবেষকও বটে।১৯৭৮ সালের ২৬শে মার্চ, স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে এক ঝড়-জলের রাতে মায়ের অষ্টম সন্তান হিসেবে ভূমিষ্ঠ হন দীপ। নাড়িমাটি : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া গ্রাম। পড়ালেখা : ভুরুলিয়া নাকবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় [পূর্বনাম জেএন হাইস্কুল] থেকে এসএসি, শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। উচ্চতর গবেষণা শুরু করলেও পারিবারিক কারণে শেষ করা হয়ে ওঠেনি । পেশা : শিক্ষকতা। উপযুক্ত বইপড়া, গান শোনা এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য- বড়ই প্রিয় তাঁর। ইতিহাসচেতনা, সংস্কৃতিবোধ, নান্দনিকতা, মুক্তবুদ্ধি এবং মানবতার প্রতি সুগভীর অনুরাগই কুমার দীপের লেখালিখির পাথেয়। প্রকাশিত গ্রন্থ : কাব্য : কোথাও কোনো মানুষ নেই; ঘৃণার পিরিচে মুখ; রটে যাচ্ছে আঁধার; মাতাল রাতের চাঁদ; অন্ধকারের মালতিগুচ্ছ; কালান্ধ নূপুরের ধ্বনি। গল্প : ভালোবাসার উল্টোরথে; যে পাখি ফিরতে পারে না নীড়ে। প্রবন্ধ : নান্দনিক শামসুর রাহমান; আধুনিক বাংলা সাহিত্য : পাঠ ও প্রতিকৃতি; অনন্য শামসুর রাহমান ( কলকাতা); বাংলা কবিতায় ঐতিহ্য ও অন্যান্য অনুষঙ্গ; কথাশিল্পের আঙিনায়। শিশুতোষ গল্প : পিয়ালের শিয়াল পোষার শখ। সম্পাদিত পত্রিকা : অর্চি ( কবিতাকাগজ; একটি সংখ্যা বের হয়েছিলো ২০০১ সালে)। উল্লেখযোগ্য পুরস্কার / সম্মাননা : গীতিকবিতার জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক-ডেইলি স্টার কর্তৃক ‘সেলিব্রেটিং লাইফ এ্যাওয়ার্ড’ ২০১৫ ও ২০১৬। "