এক নারী রাস্তায় শুয়ে দিব্যি নিশ্চিন্তে পা নাড়াচ্ছে, রাতে ঘুমোচ্ছে, দেখছি প্রতিদিন। এর বাস্তবতা ও সম্ভাবনা নিয়ে লিখেছি গল্প ‘যুবতীটি শহরের প্রধান সড়কে’। বাস্তবতার জাঁতায় পিষ্ট নারীর গল্প ‘প্যারাডাইস কুইন’। ঘৃণ্য রাজাকার, এন্টিসোস্যালরা ডালপালা, শেকড়—বাকড় ছড়িয়ে সমাজসেবী, দানবীর সেজে সমাজে বিরাজ করে। কিন্তু জীবনের শেষ অঙ্কে হিসেব মিলে এদের? এমন একটি গল্প ‘ডকুমেন্টারির শেষ অঙ্ক’। এ সংকলনে মোট আঠারোটি গল্প। গত দুই বছরে লেখা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়, মিডিয়ায় প্রকাশিত। গল্পগুলো সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী গল্পের কাঠামো বিনির্মাণ করতে হয়েছে বলে গল্পগুলিকে কোন নির্দিষ্ট নির্মাণশৈলীতে বাঁধতে চেষ্টা করিনি। তাই একেক গল্প একেক বয়ান স্বর, একেক ফর্ম কিংবা ফর্মহীন হতে পারে। অতিকথনহীন, মেদহীন ঝরঝরে রেখে যথাসম্ভব শৈল্পিকভাবে গল্পটা করতে চেয়েছি। যেমন ‘দ্যা রুট’ গল্পটি বর্ণনাহীন, চরিত্রের সংলাপ দিয়ে শুরু ও শেষ হয়েছে। ‘ইতিহাস খুঁড়ে’ গল্পটা সত্যি ঘটনা কেন্দ্রিক লেখা—বর্ণনামূলক। এখানে মানুষের পাশবিকতার, নৃশংসতার অতীত ও বর্তমান যোগসূত্রটা দেখিয়েছি।