্রতিটা মানুষের জীবনে রয়েছে বিশুদ্ধ ক্সশশব। যদি কখনো সময় পান ক্সশশবের স্মৃতি মনে করুন তবে দেখবেন আপনারও রয়েছে এমন মধুর সব স্মৃতি ভর্তি ঝুলি। ঝুলি খুলুন মনে পড়ে যাবে খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে আম কুড়ানোর ধুম, বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাখির পেছনে ছুটে বেড়ানো, বড়শি দিয়ে পুঁটি মাছ ধরা কিংবা পলো চেপে ছোট—বড় মাছ ধরা, খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটা, বনের মর্মর তানে গা ভাসানো, ¯‥ুল পালিয়ে চড়ুইভাতির আয়োজনে মেতে ওঠা, চাঁদের দুধ সাদা জ্যোৎস্নায় বাড়ির বাইরে রাত কাবার, কখনো কখনো দুপুরের রোদে সুতা ছেড়া ঘুড়ির পেছনে ছুটা, মার্বেল, ফুটবল, লাটিম, লাটাই হাতে সারা পাড়ায় ঘুরে বেড়ানো, সব মিলিয়ে এ এক অন্যরকম ক্সশশবের স্মৃতি। এরকম অসংখ্য স্মৃতির আড়ালে বিশুদ্ধ প্রেমের সেই আলোক রশ্মি ফুটিয়ে তোলার অদম্য চেষ্টা উক্ত কাব্যে। কেউ যদি কাব্যটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তবে অবশ্যই তাকে বলতে হবে ‘আমার ক্সশশবটাও তো বেশ ছিলো’। লেখা হবে এক ধরনের স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ। লিখতেই যে হবে এমনটা নয়। আমার যখন মন চায় তখন লিখি। আমার লেখালেখির পেছনে যাদের অবদান বেশি তারা হলো আমার প্রাণপ্রিয় কিছু শিক্ষার্থী। তারাই আমাকে লেখালেখিতে প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষণ। বই আকারে কবিতাগুলো প্রকাশের আগে আমার কয়েকজন শিক্ষাগুরু ও শুভাকাক্সক্ষী লেখাগুলো পড়ে আমাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. রুহল ফুরকান সিদ্দিক পি.এইচ.ডি স্যার, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অসীম বিভাকর স্যার, আমার এক বড় ভাই রাহাত আহমদ ও ছোট ভাই বইপ্রেমী হারুন—অর রশিদ। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন আরেক কবি, চিত্রশিল্পী হাবিবুর রহমান হাবিব ভাই এছাড়াও আমার কর্মস্থলের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকরা কাব্য রচনায় আমাকে বিভিন্নভাবে উৎসাহ প্রদান করেছেন। কবি মামুন শেখ ও প্রকাশনীর ফজলুর রহমান বকুল ভাই বইটি প্রকাশে সবার্ত্মক সহযোগিতা করেছেন। সবোর্পরি সকলের সার্বিক শুভ প্রচেষ্টায় আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ ‘সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য পৃথিবীর’ বইটি প্রকাশে সমর্থ হয়েছি। সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করবেন যেন শুদ্ধ সাহিত্য সাধনায় আপনাদের পাশে থাকতে পারি।