মীমের ভাতিজার কান্না বেড়ে যাচ্ছে। তার 'ড্রোন৭১' চাই। সে এটা নিয়ে বাড়ি যাবে। ড্রোন ল্যান্ড করার পর তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল ড্রোনটা। সে ড্রোনটি ধরে বসে আছে। কাউকে ধরতে দিচ্ছে না। এটা এখন তার। শরীফ তার কাছ থেকে ড্রোনটা না নেওয়ার জন্য সবাইকে নিষেধ করে দিল। এলাকার মজিদ পাগলা আজ স্কুলের মাঠে উপস্থিত। সে অর্থনীতিতে এমএ। অত্যন্ত ভালো ছাত্র ছিল। এলাকার মুরব্বিদের ভাষ্য, বেশি লেখাপড়া করতে করতে তার ব্রেনের স্কু নাকি ঢিল হয়ে গেছে। তাকে সৈকত জিজ্ঞাসা করল, 'কিরে তুই এখানে কি করিস ?' 'আমি আকাশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তোর কী তাতে ?' পাগলার কথাগুলো মাঝেমধ্যে ভালো মানুষের মতো মনে হয়। সে বুঝতে পেরেছে এখানে আকাশ জয় করার প্রস্তুতি চলছে। তাই তার কথা আকাশ নিয়ে। মজিদ পাগলা শরীফের কাছে এসে বলল, 'কিরে আমারে আকাশে নিবি কখন ? আমিতো প্রস্তুত, তোরাইতো আমাকে নেস না।' শরীফ বিষয়টা বুঝতে পারে। সে বলল, 'তোমাকে আজকে নেওয়া যাবে না, আরেকদিন নিব। তুমি নিজেকে আকাশে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত কর।' 'ওকে, ওকে আরেকদিন তাহলে হবে।' তৌফিক চেয়ারম্যান পাগলা মজিদকে বলল, 'কিরে মজিদ, ওদের কাজে ডিস্টার্ব করছিস কেন ? যা এখান থেকে।' 'ডিস্টার্বতো আপনি করছেন। আমার দোষ দেন কেন? ও বুঝেছি আমার এখানে চাহিদা নেই, যার যেখানে চাহিদা নেই তার সেখানে থাকতে নেই।' এই বলে পাগলা দৌড় মারলো।