বাবার ব্যাপারে তেমন কিছু না জেনেই বড় হয়েছে বাউন্টি হান্টার ড্রেইক র্যামজি। তবে শিকার ধরতে গিয়ে আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ল সে। জানানো হল, আপাতত আর কোন কেস দেয়া হবে না ওকে। তবে অফিস ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সিয়াটলের অ্যাটর্নির কাছ থেকে আসা একটা মেসেজ ধরিয়ে দেয়া হল ওকে। আইডাহো-তে সদ্য মৃতা এক মহিলা ওর জন্য উপহার হিসেবে রেখে গেছে নগদ পঁচিশ হাজার ডলার আর অ্যাটর্নিকে নির্দেশ দিয়ে গেছে, ওর যাতায়াতের বিমান টিকেটের ব্যবস্থা করতে। বিষয়টা সন্দেহজনক। এই আত্মীয়ার ব্যাপারে কিছুই জানা নেই ড্রেইকের। অ্যাটর্নির সাথে দেখা করতে হাজির হল অকুস্থলে। টাকার সাথে আরও একটা জিনিস হস্তান্তর করা হল ওর কাছে; মহিলার একটা চিঠি এবং একটা জার্নাল। আর তাতেই আমুল পাল্টে গেল ওর জীবন। জানলো, বহু বছর আগে অ্যামাজোন জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া পিতার প্রকৃত পরিচয় আর বিশাল এক ধনভান্ডারের খোঁজ। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিল ড্রেইক। খুঁজে বের করবে হারানো শহর পাইটিটি। যেখানে লুক্কায়িত আছে ইনকা সাম্রাজ্যের কিংবদন্তির গুপ্তধন। সাথে যোগ দিল বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর তার আর্কিওলজিস্ট মেয়ে। এদিকে দুই সাবেক কেজিবি এজেন্টও গোপন কিছু একটা খুঁজছে। বোঝার ওপর শাকের আঁটি হিসেবে হাজির হল মার্কিন সরকার। রাশানদের গোপন জিনিসটার তালাশ করছে তারাও। ছুটে বেড়াচ্ছে ড্রেইক। মেক্সিকো সিটি থেকে রিও ডি জেনেরিও, সেখান থেকে অ্যামাজোনের গহীন অরণ্য। ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে রাশানরা, এদিকে সিআইএ-ও খোঁজ পেয়ে গেছে ওর। সবাই চায় জার্নালটা। আরও একজন হাত বাড়ালো সাহায্যের। কিংবদন্তির গুপ্তধন, দুই রাশান খুনি, অপরূপা এক তরুণী আর সাবেক এক নেভি সিল...অ্যামাজোনের গহীন অরণ্যে সাবেক বাউন্টি হান্টার ড্রেইক র্যামজির শ্বাসরুদ্ধকর এক মিশন...