নিজেকে দেখার মত ভালো কোন আয়না নেই। ছিল একটি, যা কিনা ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে! চূর্ণ হওয়া গুটি কয়েক টুকরা দিয়ে আবারও, নিজেকে নতুন করে, দেখার স্বপ্ন বুনেছিলাম। তার মধ্যে আরও একটি টুকরা বিচূর্ণ হয়ে যায়! অত:পর আমি চূর্ণ হওয়া অপর একটি টুকরা বেছে নিলাম। আবারও শুরু হলো নতুন করে নিজেকে দেখা। দেখতেও ভালোই লাগতো, খুব আনন্দও হতো মনে মনে। একবারের জন্যও মনে হয়নি আয়নাটি ভাঙ্গা। কিছু দিন পরে কেমন যেন ঝাপসা ঝাপসা লাগে! অবাক ব্যপার! এমন ঝাপসা ঝাপসা লাগে কেন? পরে কোন এক সময় বুঝতে পারলাম যে, আয়নাটি যে কৈশরের! কৈশর কাটিয়ে কখন যে, যৌবনে পা রেখেছি মনে নেই। এখনতো যৌবনেরও অনেকটা সময় পার করেছি, এর পরই বুঝতে পারলাম অনেক কিছু, এই ভাঙ্গা আর পুরানো আয়নাতে যে. নিজেকে এর বেশী পরিষ্কার দেখা যাবে না। মেনে নিতেই হবে কঠিন এই বাস্তবতা কে, তবু ও মাঝে মাঝে ভুল করে ফেলি! ভাঙ্গা আর ঝাপসা আয়নাতে নিজেকে খুঁজি। আবার মনে পড়ে যায়, কোন লাভ নেই এতে। ঘুমিয়ে থাকা বিবেক বলে দেয় তখন, আমায় বার বার কেন বিরক্ত করিস? এর চেয়ে ভালো আর দেখতে পাবিনা, এটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাক, এর বেশী আশা করিস না।