আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির সেরা ঘোষনা করেছেন। বিবেক বুদ্ধি ভদ্রতা সভ্যতা ও শিষ্টাচারের গুণাবলিতে করেছেন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। ঘৃণা বিদ্বেষ হিংসা অহংকারের মতো মন্দ দিকগুলোর পাশাপাশি দিয়েছেন ভালোবাসা করুণা সহনশীলতা ও অমায়িকতার মতো সুন্দর বৈশিষ্ট্যাবলি। তাই প্রকৃত মানুষ মন্দ কাজ করার পরপরই ভেতরে ভেতরে অনুতপ্ত হয়। ইবলিস ও নফসে আম্মারার ফাঁদে পা দিয়ে পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার পর সেই পাপ থেকে তওবা করে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তবে কেউ কেউ প্রতিনিয়ত পাপকাজ করার পরও তার মনেই হয় না, সে পাপে লিপ্ত হয়েছে। একজন মানুষ যখন এমন পরিণতিতে পৌঁছে যায় তখন বুঝতে হবে তার ভেতর থেকে মনুষত্ব লোপ পাচ্ছে। আর তখনই তাকে তার সত্তাগত মনুষত্ব ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও দীক্ষা নিতে হয়। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনকে বানিয়েছেন মানবজাতির মনুষত্ব পরিমাপের মাপকাঠি আর পৃথিবীর সর্বশেষ্ঠ শিক্ষক ও সর্বোৎকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বানিয়েছেন কুরআনভিত্তিক জীবনযাপনের প্রকৃষ্ট নমুনা। আল্লাহর বিধান ও নেজাম প্রিয়নবী সা.-এর দেখানো আদর্শ অনুযায়ী মেনে চলতে পারলেই একজন মানুষ নগন্য জীব থেকে শেষ্ঠতর জীবে পরিণত হতে পারে। বক্ষ্যমাণ ‘মুসলিম ম্যানারস’ গ্রন্থটি কুরআনুল কারিম ও সুন্নাহে নববী অনুযায়ী জীবন গড়ার জন্য সহজ-সরল ও সুন্দরতম পথ দেখাবে বলে আমরা আশাবাদী।
আব্দুর রহমান আল-আনসারী। তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা জয়পুরহাটে। তাঁর শৈশব এবং কৈশোরের সোনালি বসন্তগুলো কেটেছে এখানেই। পড়াশোনা করেছেন জয়পুরহাট সিদ্দিকীয়া কামিল মডেল মাদরাসায়। সুদীর্ঘ ছয় বছর খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন নিজ গ্রামে। বর্তমানে তিনি ধনুয়া, শ্রীপুর, গাজীপুরের দারুত-তাওহীদ মডেল মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। মূলত তিনি মানুষের মাঝে ইসলামের রূপালি বিভা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা থেকেই লেখালিখির ময়দানে এসেছেন। মুসলিম ম্যানারস তার প্রথম রচিত মৌলিক বই এবং তাঁর দ্বিতীয় বই নারীর জান্নাত জাহান্নাম।