মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র সহধর্মিণীগণের মধ্যে উ¤মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) ছিলেন তাঁর সব চাইতে প্রিয়। এর কারণও ছিল। তিনি বিদ্যা-বুদ্ধিতে, জ্ঞানে-গরিমায়, ইবাদত-বন্দেগীতে, উদারতা-দানশীলতায় এবং শিক্ষাদান ও স্মরণশক্তিতে ছিলেন উপমাতুল্য। সহজ সরল ভাষায় জটিল বিষয়কে বুঝিয়ে দিতে তাঁর জুড়ি ছিল না। বিভিন্ন কবির কবিতা উদ্ধৃত করে তিনি কোনো বক্তব্যকে সাধারণের বুঝার উপযোগী করে তুলতে পারতেন। রসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাড়ির ভেতরের কাজকর্ম, উঠাবসা, আচার-আচরণ ও ইবাদত-বন্দেগী তিনি আপন স্মৃতিতে ধরে রেখেছিলেন। যা বাইরের কোনো মানুষের পক্ষে জানাও সম্ভব ছিল না। এ জন্য ইসলামী শরীআত বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের মতে ইসলামী শরীআতের বিধি-বিধানের চার ভাগের একভাগই হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাঁর থেকে বর্ণিত মোট হাদীসের সংখ্যা ২২১০টি--যা অনেক পুরুষ সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা থেকে অনেক বেশি। মু’মিন জননী আয়েশা (রা)-এর জীবন ছিল নানা ঘাত-প্রতিঘাতে পরিপূর্ণ, যা শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে লেখা বেশ কষ্টসাধ্য। জনাব কালাম আযাদ অনেক পরিশ্রম করে আয়েশা সিদ্দীকা (রা)-এর পূত-পবিত্র জীবনীকে ছোটদের উপযোগী করে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। এ ব্যাপারে আমরা কতটুকু সফল হয়েছি তা বিজ্ঞ পাঠক মহল বিবেচনা করবেন। আমরা সাধ্যমত আমাদের চেষ্টা করেছি। ফলাফল দেয়ার মালিক তো মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।