আমার হৃদয় বঙ্গবন্ধুর চেতনায় জাগ্রত, স্পন্দিত, শোকাহত ও প্রতিবাদী। তিনি আমার অনুভূতি ও অন্তরাত্মায় মিশে আছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অসীম। যাঁকে ছাড়া বাঙালি জাতির অস্তিত্ব বিলীন। বঙ্গবন্ধু মানেই মুক্তির সংগ্রাম, বাংলার স্বাধীনতা, বাঙালির ঠিকানা, বাঙালির আদর্শ, বাঙালির মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা, বাঙালির সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র, নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা এবং স্বপ্নের এই সোনার বাংলা। তাঁর সব মহৎ কর্ম আমার এই ছোট গ্রন্থে প্রকাশ করা দুঃসাধ্য। তারপরও আমার জানা বিশেষ কিছু ঘটনা ও চরিত্র নিয়ে হৃদয়রাঙানো ছন্দে রচনা করেছি ১০০ কবিতার এই কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থের কবিতাগুলো শুধু জাতির পিতার জীবনীনির্ভর। ‘শত বর্ষে শত কবিতা’ এই শ্রদ্ধাটুকু নিবেদনের প্রয়াসে দীর্ঘদিন সাধনা করেছি। কবিতা লেখার সময় কখনো তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করে ছিলাম, কখনোবা তাঁর প্রতি বুকভরা ভালোবাসায় উৎফুল্ল ছিলাম, আবার কখনো অশ্রুসিক্ত হয়ে লিখেছি হৃদয়বিদারক কিছু স্মৃতি। এই গ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় আমি জাতির পিতার সঙ্গে জড়িত বিশেষ কিছু ঘটনা ও জাতির পিতার আদর্শে প্রভাবিত সেই সব মানুষকে নিয়ে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের ভালোবাসা পেলে আমার এই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারব। পাঠকদের জন্য রইল শুভকামনা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
কবি শুভ দত্ত (সাত্ত্বিক শুভ)। পিতা বাবুল দত্ত। মাতা অজন্তা দত্ত। বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানার রামানন্দপুর গ্রামে। কবি কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। তিনি চতুর্থ শ্রেণি থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার শুরু করেন। তখন থেকেই তার বিভিন্ন গুণীজন ও সংগীতগুরুদের কাছ থেকে তালিম নেওয়ার সূচনা ঘটে। কবি ছোটবেলায় তার দাদুর কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। তারপর বঙ্গবন্ধুর নিঃস্বার্থ দেশপ্রেম নিয়ে রচনা করতে থাকেন একের পর এক গান ও কবিতা। কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায় তা প্রায় সবই হারিয়ে যেতে থাকে সময়ের আবর্তনে। কিন্তু জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে ১০০ কবিতার এই কাব্যগ্রন্থ রচনা করার প্রত্যয় নিয়ে সব প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করেন। কবি বলেছেন, এটি শুধু একটি কাব্যগ্রন্থ নয়, এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রয়াস। যত দিন বেঁচে থাকব, এই দেশ আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখে যাব।