মাজলুম দাঈ সালমান আল-আওদাহ হাফিজাহুল্লাহ। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী আলিম। দরদি দিল নিয়ে উম্মাহর খিদমতে আত্মনিয়োগ করায় আজ তার ঠিকানা জালিমের কারাগারে। দুআ করি—রাব্বুল আলামিন যেন এই মহান লেখকের ইলমি ছায়া আমাদের জন্য দীর্ঘ করেন। তিনি কলমের কালিতে, ইখলাস ও দাওয়াহ’র ভাষায় মনের যে স্বচ্ছ সমাজ-ভাবনার চিত্রায়ন করে গেছেন আমাদের সামনে, সেগুলোই আমাদের আলোর দিশারি হয়ে থাকবে দীর্ঘকাল। তার অনন্য অসাধারণ অনেক কাগুজে কীর্তির অন্যতম “বানাতি—একগুচ্ছ নাসিহা”। এই গ্রন্থে তিনি নারীদের উপহার দিয়েছেন হৃদয় নিঙড়ানো একগুচ্ছ নাসিহা। নারীর আত্মপরিচয় স্পষ্ট করে তাকে বুঝিয়েছেন নিজের গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের কথা। টিনেজার তরুণীদের নিয়ে আলাপ করেছেন সবচে’ বেশি। এ সময় তারা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়, এর সমাধানে পরিবার এবং সমাজের করণীয়সহ বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আধুনিককালে বিভিন্ন কৌশলে নারীদের নিয়ে ইসলামের শত্রুদের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসন ও চক্রান্তের দিকগুলো চিহ্নিত করে সচেতন করেছেন। তাই ‘একগুচ্ছ নাসিহা’ নারীদের আত্মোন্নতির পথে যেমন সঙ্গী হবে, তেমনি তাদের মন-মগজ গঠনেও বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি।
সালমান বিন ফাহদ বিন আব্দুল্লাহ আল আওদা (জন্ম: ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫৬) আবু মু'আদ নামে পরিচিত। তিনি একজন সৌদি আলেম এবং মুসলিম স্কলার। তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স’ এর একজন সদস্য এবং ইসলাম টুডে ওয়েবসাইটের আরবি সংস্করণের পরিচালক। বেশ কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং পত্রিকায় কলামলেখক হিসেবেও কাজ করেন। সৌদি আরবের আল-কাসিমের বুরাইদা শহরের নিকটবর্তী আল-বাসর শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি তার শৈশব আল-বাসরে অতিবাহিত করেছেন, তারপরে বুরাইদাতে চলে আসেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে, একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আল-আউদার পুত্র হিশাম এবং তার স্ত্রী হায়া মৃত্যুবরণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ইমাম মুহাম্মদ বিন সা'দ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক আইন শাসনে বিএ, এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং আবদুল আল-আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাজ, মুহাম্মদ ইবনে আল উসাইমিন, আবদুল্লাহ আবদাল রহমান জিবরিনের মতো পণ্ডিতদের কাছে থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে আল-কাসিমের বৈজ্ঞানিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হন। ১৯৯০ সালে বুরাইদার কেন্দ্রীয় মসজিদেও সাপ্তাহিক পাঠদান শুরু করেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ৫০টি বই রচনা করেন।