জীবন্ত গ্রহের সন্ধানে (এক) কে আপনি? কী আপনার পরিচয়? আমার কাছে কী চান? কথা বলছেন না কেন? প্রশ্নগুলি অনবরত করেই যাচ্ছে কীয়ান, কিন্তু কোন জবাব মিলছে না। লোকটার চেহারাও ¯পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হালকা নীলাভ আলোর পাশাপাশি সাদা ধোঁয়াটে পরিবেশে তাকে অনেকটা হরর মুভির ড্রাকুলার মত লাগছে। লোকটার ভাবসাব আর অঙ্গভঙ্গিটাও হাস্যকর। কখনো ব্যাটম্যান, কখনো ¯পাইডার ম্যান, কখনো বা আয়রন ম্যানের রূপ নিচ্ছে। কোন চরিত্রেই স্থির থাকতে পারছে না। ব্যাটম্যনের রূপ যখন নেয় তখন মাথাটা নীচের দিকে আর পা দু’টি উপরের দিকে দিয়ে সিলিংয়ের সাথে বাদুড়ের মত ঝুলে থাকে। আবার যখন ¯পাইডারম্যানের রূপ ধরে তখন সে অনেকটা কোলাব্যাঙের মত উবু হয়ে হামাগুড়ি আর জা¤প দিয়ে এক দেয়াল থেকে অন্য দেয়ালে ভাগতে থাকে। এভাবে আরো অসংখ্য রং ও রূপ পরিবর্তন করে অবশেষে টারমিনেটরে স্থির হয়ে যায়। কীয়ানের আর বুঝার বাকি রইল না, কী ঘটতে যাচ্ছেÑ এরকম ঘটনা এই প্রথম না, পূর্বেও তাঁর জীবনে বহুবার ঘটেছে। তবে এবার ব্যাতিক্রম এটাই যে, এবারে শুধুমাত্র একটি ‘গ১০ রহ ১’ মডেলের রোবট তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এর পূর্বে যতবারই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, প্রত্যেকবারই এক প্লাটুন রোবটের একটি দল তাঁর কাছে আসতো। থপ্ থপ্ করে রোবোকপের মত যান্ত্রিক পায়ে তারা হেঁটে চলতো। লেজার গান তাঁর দিকে তাক করে দলনেতা রোবোটটি তাদের আগমনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করতো এবং অনেকটা জোরপূর্বক তাঁকে আসামীর মত ধরে নিয়ে যেতো। একেকটা রোবটের চেহারা একেক রকম হতো। কারো চেহারা সুপারম্যানের মত, কারো বা হেলবয়ের মত আবার কারো কারো র্যাম্ব, হাল্ক কিংবা টার্মিনেটরের মত, যেন একটা হলিউড সুপারস্টারদের কমান্ডো । কিন্তু এবার সেই একমাত্র রোবটটি ক্ষণে ক্ষণে নিজেকে আলাদা আলাদা রূপে শো করছে। যার মডেল নাম্বার, ‘গ১০ রহ ১’ মানে ‘ম্যাসেঞ্জার’ একের ভিতরে দশ। যখন সে র্যাম্বোর রূপ ধরে তখন পুরোপুরি সিলভেস্টার স্ট্যালোনের মত আচরণ করে আবার যখন সে টার্মিনেটরের অবয়বে আসে তখন আর্নল্ড সোয়ার্জনেগারের মত করে।
সুইজারল্যান্ড প্রবাসী সৌখিন সঙ্গীত শিল্পী মাজহারুল আলম। জন্ম- ১৬ এপ্রিল ১৯৭০। পশ্চিম দেওভোগ, বাংলাবাজার, নারায়ণগঞ্জ। ৯০-এর দশকে নারায়ণগঞ্জের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ। তৎকালীন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের অন্যতম সদস্য। গ্রীনস্টার কালচারাল ও কোচিং সেন্টারের সাবেক পরিচালক এবং মেঘমুক্ত খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠাতা যিনি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখিসহ নানাবিধ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাÐ জড়িত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জের নাট্য আন্দোলনের সেই সময়ের একজন প্রথম সারির নাট্যকর্মী। ‘জনেজন নাট্য স¤প্রদায়’, অঙ্গীকার ও আন্তরিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও স¤পৃক্ত ছিলেন। তাঁর রচনা ও পরিচালনায়, রম্য নাটক ‘তোরা আবার অস্ত্র ধর’, ‘কেন এমন হয়’ এবং ‘উজবুকে বাক্সোর সদরে-অন্দরে ‘সেই সময়ে যথেষ্ট দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। ছড়া, কবিতা, গান, ছোটগল্প, নাটক ও উপন্যাসসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিবিধ শাখায় যার অবাধ বিচরণ। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে সপরিবারে বসবাসকারী এবং সুইস বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিটির বর্তমান সাংস্কৃতিক স¤পাদক মাজহারুল আলম সাংসারিক জীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক। পিতা- মরহুম আব্দুল মতিন মোল্লা এবং মাতা- মোসাম্মৎ বিলকিস আক্তার। জীববিজ্ঞানে স্নাতক এই লেখক বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের একটি বহুজাতিক কো¤পানীতে বিপনন শাখায় কর্মরত। অগ্নিবীণা থেকে প্রকাশিত জি সিরিজের ব্যানারে তাঁর প্রথম অডিও অ্যালবাম ‘প্রবাসীর প্রিয়তমা’ যার প্রতিটি গানের কথা ও সুর তিনি নিজেই রচনা করেছেন। তৃণলতা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত এবারের বইমেলায় তাঁর লেখা তিনটি বই যথাক্রমে- (১) ‘জীবন্ত গ্রহের সন্ধানে’ (সায়েন্স ফিকশন)। (২) ‘অগ্নি দিয়ে লিখা’ (কাব্য গ্রন্থ)। (৩) ‘সুইজারল্যান্ডে বাঙালী সোনামণিদের স্বপ্নপুরীতে’ (ছোটদের ছড়ার বই) পাঠকদের কৌত‚হল ও মনের চাহিদা মেটাতে যথাযথ ভ‚মিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। প্রকাশের অপেক্ষায় লেখকের আরো দু’টি বই যথাক্রমে- (১) ‘একটি অসম ভালোবাসার গল্প’ (উপন্যাস )। (২) ‘মিমোর মহাকাশযাত্রা’ (সায়েন্স ফিকশন)।