মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ও অমুসলিম দেশে বসবাসরত মুসলিম সমাজে তথাকথিত ইসলাম জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যাপকভাবে উত্থান ঘটেছে। অনেক গোষ্ঠী গোপনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কও গড়ে তুলেছে। এসব গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দান করে থাকে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত অথবা নামে মাত্র ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত অগভীর ইলমের অধিকারী অতিরিক্ত ধর্মাবেগী কিছু ব্যক্তিবর্গ। যারা অপরিকল্পিত ও অগঠনমূলক ভাবে আবেগের বশবর্তী হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব, জনবল, শক্তি সামর্থ্য ও সমরাস্ত্র কোন কিছুর প্রতি ভ্র“ক্ষেপ না করে দেশী ও আন্তর্জাতিক শক্তির বিরুদ্ধে গোপন আস্তানা থেকে জিহাদের ডাক দিয়ে বসে। এবং জিহাদের নামে গুপ্তহত্যা, মুসলিম ও অমুসলিম দেশের কুটনৈতিক এলাকা, স্থাপনা, স্থাপত্ব, গুরুত্বপূর্ণ অফিস-আদালত, প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ভবন, অনুষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপর বোমা হামলা ও আত্মঘাতি হামলা চালিয়ে থাকে। সর্বযুগে এবং সব ধর্ম ও সমাজে কমবেশী এ ধরণের জঙ্গিবাদী এবং সন্ত্রাসী লোকদের অস্তিত্ব ছিল এবং আছে। অমুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষীদের হাতে মিডিয়ার চাবিকাঠি থাকাতে অন্যান্য সমস্ত ধর্ম ও সমাজের সন্ত্রাস এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ড শুধু ইসলাম ধর্মের উপর চাপানো হচ্ছে। এমনকি তাদের দৃষ্টিতে কোন মুসলিম জনগোষ্ঠির উপর ট্যাংক, কমান ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান আক্রমণের মাধ্যমে গণহত্যা ও এলাকার পর এলাকা গুঁড়িয়ে ফেললেও এ কাজ সন্ত্রাসী হয় না, কিন্তু এ নিপীড়িত ও নির্যাতিতরা ব্যর্থ প্রতিরোধের জন্য একটি ঢিল কিংবা পাথর ছুঁড়লে বিশ্বের বুকে এ ঢিল ও পাথর ছুঁড়ে মরাকে সন্ত্রাস বলে প্রচার করা হয়।