ইসলামের প্রথম ফিৎনাহ যা ইহুদীদের ষড়যন্ত্র ও মুসলিম নামধারী কতিপয় দুষকৃতিকারীর ভয়ানক অন্তর্দন্ধের কবলে ইসলামী সমাজ কলুষিত হয়েছে। একদিকে সরল সহজ মুসলমানদের মনে সাহাবীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার বীজ বপন করা অন্যদিকে মুসলিম সমাজের সুন্নাহের পথপ্রদর্শক উলামা সমাজের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও গোপন সামরিক আক্রমণের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম সমাজ সুন্নী ও শীয়া নামে দু’টি পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত এ ক্ষত মুসলিম বিশ্ব বয়ে যাচ্ছে আর কতদিন বইতে হবে তা একমাত্র আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন। ইসলাম ও মুসলমানদের দুশমন দুই প্রকার: জাতীয় ও বিজাতীয় তথা বাইরের ও ঘরের। বিজাতীয় শত্র“রা যখন দূর থেকে আশানুরূপ ক্ষতি সাধন করতে পারেনি, তখন জাতীয় ও ঘরের শত্র“ বানানোর জন্য সকল প্রকার চেষ্টা-তদবির করতে ভুল করেনি। বিজাতীয় শত্র“রা মুনাফেক মুসলমান সেজে বা সাজিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে তারা আহলে বাইত তথা নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সালামের পরিবারের মুহাব্বত দেখিয়ে সর্বদা বেশি ক্ষতি করেছে। একটি দল আহলে বাইতের ভালবাসা দেখিয়ে মিথ্যার যে পাহাড় গড়েছে এমন মিথ্যা অতীতে বা বর্তমানে আর কেউ গড়তে পারেনি। এই দলটি আশুরার মূল বিষয়কে কারবালার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে নিজেদের কুমতলব হাসিলের অপচেষ্টা করেছে। এদের কালো ইতিহাস ইসলাম ও মুসলমানদের কি কি ধ্বংস ঘটিয়েছে তা বিজ্ঞজনদের অজানা নয়। কিন্তু দু:খজনক ব্যাপার হলো: এদের খপ্পড়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও অনেক পণ্ডিত ও ইসলামী চিন্তাবিদরা। এরাই হলো শিয়া-রাফেজী দল যাদের পেছনের গোপন রহস্যজনক চেহারা না জেনে-বুঝে লোকেরা তাদের বাহ্যিক চেহারা দেখে প্রভাবান্বিত হয়েছে। তারা সাহাবাগণের ব্যাপারে কটুক্তি করতে দিধাদ্ব›দ্ব করেনি। বড় আফসোসের কথা হচ্ছে: দুশমনদের মিথ্যা ইতিহাস পড়ছে ও পড়াচ্ছে মুসলমানরা তাদের পাঠশালাগুলোতে। এর চাইতে বড় অজ্ঞতা আর কি হতে পারে? আশুরার দিন রোজা না রেখে মিটিং-মিছিল ও মাহফিল করে শত্র“দের কাজে সহযোগিতা করে এক শ্রেণীর নামধারী আলেম সমাজ। আর তাদের অনুসরণ করে সাধারণ মূর্খ জনগণ। তাই আশুরা ও কারবালার বিষয়ে সঠিক জ্ঞান মুসলিম সমাজকে জানানোর উদ্দেশ্যে আপনাদেরকে উপহার দিচ্ছি এ ছোট্ট বইটি।