মেডিক্যাল গাইড (প্রসঙ্গ সেক্স)

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
প্রকৃতির বিচিত্র নিয়মে আবহমান কাল থেকে প্রাণ সৃষ্টির অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে যৌণমিলনের সুখময় প্রক্রিয়া চলে আসছে। স্ত্রী ফুলের পরাগরেণুর সাথে পুরুষ ফুলের পরাগরেণুর মিলনে সৃষ্টি হয় ফল। তেমনি পুরুষ এবং স্ত্রী প্রাণীর দেহগত উৎপন্ন হয় নতুন প্রাণ,নতুন সৃষ্টি। নর ও নারীর দেহমিলনের সুখকর অনুভূতির ফল হিসেবে ভূমিষ্ঠ হয় নতুন শিশু। মানুষের মধ্যেকার এই দেহ মিলনের নানা ধরনের খুঁটিনাটি বিষয় রয়েছে-যেগুলো আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের এই অজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই সুখময় দাম্পত্যজীবন আচ্ছাদিত হয় দুঃখের কালো মেঘে। অথচ, যৌনমিলনের ক্ষেত্রে প্রকৃতিগতভাবেই একটি পুরুষ বা একটি নারী অবশ্যই তার বিপরীত লিঙ্গকে সমান ও চরম সুখ দিতে সক্ষম। পৃথিবীর বিভিন্ন বিখ্যামত যৌনবিজ্ঞানীদের ফলপ্রসু গবেষণা থেকে এই সত্যে পক্ষে বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেছে।

উপরোক্ত কারণে যৌন জীবন সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অত্যন্ত জরুরী। এ িকাজে সবচেয়ে সহযোগিতা করতে পারে একটি সত্যসমৃদ্ধ বই। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের দেশে এই ধরনের বই নেই বললেই চলে। যার কারণে সব শ্রেণীর পাঠক-পাঠিকারা যৌনজীবন সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে পারেন না । এই বইটিতে আমাদের বাংলাদেশের পটভূমিকায় পৃথিবীর বিখ্যাত যৌনগবেষকদের উল্লেখযোগ্য গবেষণার সমন্বয় ঘটনো হয়েছে। সেই অর্থে বইটি নিতান্তই কাজের এবং যেকোন শ্রেণীর প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীর কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য।

বইটিতে নারী-পুরুষের মিলনগত বিভিন্ন সমস্যাবলী ও তার সমাধান চিত্রসহ আলোচিত হয়েছে। আর সেই সাথে রয়েছে সুখময় দাম্পত্যজীবনের জন্য সঙ্গমের কিছু প্রয়োজনীয় ও উল্লেখযোগ্য আসনের চিত্রসহ বর্ণনা। বইটি সবশ্রেণীর প্রাপ্তবয়স্ক পাঠক/পাঠিকার উপকারে লাগবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এইসাথে এটাও উল্লেখ করতে দ্বিধা করছি না এই জন্য যে, বাংলাভাষায় এই ধরনের বই এটাই প্রথম। ভাষা ও বর্ণনাগত দিক থেকে সবকিছু প্রাঞ্জল এবং ধারাবাহিক রাখা হয়েছে। পাঠক/পাঠিকাবৃন্দ অনায়াসে সূচি পাতা থেকে তাঁর প্রয়োজনীয় অধ্যায়টি খুঁজে নিতে পারবেন। বইটি অনুবাদ এবং তার পরবর্তী বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহে যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, আমি তাঁদের সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাভাষায় এই ধরনের অতি প্রয়োজনীয় একটি বই প্রকাশের জন্য প্রকাশককেও অসংখ্য ধন্যবাদ। বইটি সকল শ্রেণী পাঠক/পাঠিকার উপকারে লাগলেই আমাদের কষ্টসাধ্য পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে আমরা মনে করবো।
-লেখক