নিষিদ্ধ চিলেকোঠা কবি লুৎফা সাখাওয়াত লতা প্রমত্তা মেঘনা নদীর পাললিক জল থেকে উঠে আসা এক শ্যামল ভেনাস- নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা! যেখানে অন্যতম কাব্যকার কবি শামসুর রাহমানের মতো নাগরিক কবি'র জন্ম হয়েছে। সেই স্বনামধন্য জনপদের এক উদীয়মান কবি ও গল্পকার লুতফা সাখাওয়াত লতা। তাঁর কবিতায় তিনি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ধারায়- কখনো বিরহ কখনো দ্রোহের পঙক্তি দিয়ে বিনির্মাণ করেছেন এই কবিতার স্বপ্নময় অমরাবতি প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'নিষিদ্ধ চিলেকোঠা'। সমকালিন নবীন লেখকদের মধ্যে তিনি বাংলা সাহিত্যে পাঠকদের হৃদয় ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর ক্ষুরধার কলম যেন এক জ্বলজ্বলে পোস্টার। কবিতার যে সকল অনুষঙ্গ কবিতাকে প্রাণবন্ত করে তোলে- উপমা, তুলনা, উতপ্রেক্ষা, আলংকার, অনুপ্রাসসহ মিথের যুতসই ব্যবহার তাঁর প্রায় সবকটিই কবিতায় কম বেশী উপস্থিতির জানান দেয়। কবি'র কবিতায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল শব্দসম্ভারের কৌশলী প্রয়োগ এবং এই দক্ষতা তার কবিতাকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। পাশাপাশি বাণীপ্রধান কথামালার দার্শনিক চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ কবিতা। প্রেম, বিরহ, মানবজীবনের টানাপোড়েন, দুঃখ-বেদনা ও রোমান্টিকতাসহ দ্রোহ তার কবিতায় সমানভাবে প্রবাহমান। তাই কবি আবলিলায় লিখতে পারেন--- আমি না হয় আরো একবার দখিনা হাওয়ার সহচরী হবো না হয় নন্দিনী সেজে আরো একবার কপালে মায়াবতীর কালোটিপ পরে নেবো। কাব্যগ্রন্থ 'নিষিদ্ধ চিলেকোঠা' খরস্রোতা মেঘনারজল প্রবাহের মতো কবিতা আরো বহুদূর যাবে আমার বিশ্বাস। কলমকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারলে কবিতা তাকে পোঁছে দেবে স্বপ্নের সোনালি বন্দরে। কবি'র কবিতা আরো সমৃদ্ধ হোক, আরো পাঠকপ্রিয়তা পাক, বাংলা কবিতার মেঘলা আকাশে উদীত হোক নতুন সূর্য- এই কামনায়। মাহবুব খান কবি ও ঔপন্যাসিক, প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ।