মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁহার বান্দা আদম সন্তানকে সুপথগামী করিবার জন্য দুনিয়াতে একলক্ষ চব্বিশ হাজার, বর্ণনান্তরে দুইলক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গাম্বর বা নবী-রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন। এই বিরাটসংখ্যক নবী-রাসূলদের মধ্য হইতে হাতে গোনামাত্র কয়েকজন নবী-রাসূলদের নামই আমরা জানি। অন্যদের কথা বাদ দিয়া যাঁহাদের নাম-ধাম জানা যায়, তাঁহাদের বিস্তারিত পরিচয় এবং জীবন ঘটনাসমূহ জানার আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহ থাকা প্রত্যেকের পক্ষে একান্তই স্বাভাবিক। আর তাহা জানা প্রয়োজনও বটে। পবিত্র কোরআন, তাফসীর এবং হাদীসে নববীই তাহা জানিবার প্রকৃত এবং মূল মাধ্যম। তবে পবিত্র কোরআন-হাদীস ও এ বিষয় সম্পর্কিত ইতিহাস—নবী কাহিনী প্রভৃতি আরবী ভাষায় লিখিত গ্রন্থ বলিয়া অন্যান্য ভাষা-ভাষীদের অনেকের পক্ষেই উল্লিখিত ক্ষেত্রে আকাঙ্ক্ষা নিবৃত করা খুবই আয়াসসাধ্য। এই কারণেই বহুদিন পূর্ব হইতেই বিভিন্ন সুধী ব্যক্তি কোরআন ও হাদীস হইতে এবং প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ তৌরাত, যাবুর ও ইঞ্জীল প্রভৃতি গ্রন্থ হইতে নবীদের কাহিনী উর্দু, ফার্সী এবং অন্যান্য ভাষায় বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করিয়া আসিতেছেন। কাছাছুল কোরআন, কাছাছুল আম্বিয়া প্রভৃতি ঐ শ্রেণীর গ্রন্থেরই অন্তর্ভুক্ত। এই ধরনের নবী পরিচয় বা আম্বিয়াদের জীবন কাহিনী প্রাচীন কাল হইতে বাংলা ভাষায়ও রচিত হইয়া আসিতেছে। উহার মধ্যে চার ইয়ারী' পঞ্চাশ বালামবিশিষ্ট 'কাছাছুল আম্বিয়া' নামক বিশাল আকারের পুঁথিখানা সর্ববৃহৎ গ্রন্থ। আম্বিয়াদের জীবনের উপরে এমন বিরাট