যারা হরর গল্পের ভক্ত তাদের জন্যে বইটি নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত এবং অবশ্যপাঠ্য। এটি একটি হরর কাহিনির সঙ্কলন। বইটিতে মোট এক ডজন গল্প স্থান পেয়েছে। ভূত-প্রেত, পিশাচ, ডাকিনী, তান্ত্রিক, সর্পমানবী ও ভ্যাম্পায়ারসহ গা ছমছম করে এমন সকল উপাদানই রয়েছে বইটিতে। এখানে বড় গল্প ‘দ্বিতীয় জীবন’ থেকে সামান্য অংশ তুলে দেয়া হলো সকালে ঘুম থেকে উঠেই সাবের খবর পেলো অঞ্জলিকে কে বা কারা যেন বীভৎসভাবে খুন করেছে। সারাদেহে আঁচড় আর কামড়ের চিহ্ন। স্কুলের কিছু বন্ধু মিলে দেখতে গিয়েছিল, কিন্তু পুলিশের কারণে আর সরাসরি দেখা হলো না। প্রচণ্ড কান্না পেলো সাবেরের, কালকেই ফোনে কথা হলো আর আজ ওর মৃত্যু! মন খারাপ করেই সন্ধ্যাবেলা দেখা করলো ঋতুপর্ণার সাথে। তাকে দেখে বেশ উৎফুল্ল মনে হলো। আজ আরো বেশি সুন্দর লাগছে, যেন রূপ ঠিকরে বেরোচ্ছে। “বান্ধবী মারা গিয়েছে দেখে মন খারাপ? আমার পাশে বসেও?” সাবেরের গালে হাত বুলাতে বুলাতে বললো ঋতুপর্ণা। “হ্যাঁ, ছোটবেলার বান্ধবী এভাবে মারা গেল।” কোনোমতে বললো সাবের। ঋতুপর্ণা কিছু না বলে সাবেরের কাঁধে মাথা রাখলো শুধু। সাবের তার গা থেকে কেমন বোটকা গন্ধ পেলো, শ্যাম্পু পারফিউমের গন্ধেও যা ঢাকে না… বইটির অন্যান্য কাহিনিগুলোও সমানভাবে পাঠককে আকৃষ্ট করবে বলে বিশ্বাস রাখি।
নাঈম হাসান কথাসাহিত্যের নতুন তরুণ। লিখছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস। ছােটকাগজ, পত্রিকার সাহিত্যপাতা, ত্রৈমাসিক ও মাসিক পত্রিকা ছাড়াও অনলাইন মিড়িয়ায় নিয়মিত লেখালেখি করছেন। নাঈম হাসান এর জন্ম তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। জন্ম ঢাকার তেজগাঁওয়ে। শৈশব ও কৈশাের ঢাকাতেই কেটেছে। তিন ভাই-বােনের মধ্যে তিনিই ছােট। লেখালেখির ঝোঁক মূলত শিশুকাল থেকেই, চতুর্থ শ্রেণিতে থাকাকালীন প্রথম ছড়া লিখেন এবং পঞ্চম শ্রেণিতে প্রথম তাঁর ছড়া বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এভাবে চলতে থাকে। শখ- বই পড়া, আডডা ও ভ্রমণ। প্রিয় লেখক সত্যজিৎ রায়, আহমদ ছফা, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ও মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।