সাহাবায়ে কেরাম থেকে উসমানী খেলাফত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই কনস্টান্টিনোপল বিজিত হবে। সে বাহিনীর আমীর কতইনা উত্তম আমীর। সে বাহিনী কতইনা উৎকৃষ্টতম বাহিনী।” (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদীস: ১৮৯৫৭ . রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক বর্ণিত ভবিষ্যতবাণীকে বাস্তবায়ন এবং গৌরবময় বিজয় ও সুসংবাদ প্রাপ্ত উৎকৃষ্টতম দলের সৌভাগ্যবান আমীর ও সদস্যদের একজন হওয়ার আশায় ইসলামের শুরু লগ্ন থেকেই মুসলিম বীর মুজাহিদগণ কনস্টান্টিনোপল বিজয় করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘনিষ্ঠ সাহাবীদের অন্যতম, হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু। . হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রাযি. যিনি মদিনার আনসার সাহাবাগণের মাঝে অন্যতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পর তিনিই প্রথম রাসূলের মেহমানদারী করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। . ৬৭৪ খৃষ্টাব্দে যখন প্রথম মুসলিম বাহিনী কনস্টান্টিনোপল অভিমুখে অভিযান শুরু করে হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রাযি. ৮৬ বছরের বায়ো-বৃদ্ধ বয়সেও তরবারী হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। লক্ষ্য একটাই ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যৎবাণীর গর্বিত অংশীদার হওয়া। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তিনি ওছিয়ত করেন, তাঁর কবর যেনো কনস্টান্টিনোপলের প্রবেশপথে দেওয়া হয়। যাতে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ী মুসলিম মুজাহিদদের ঘোড়া তাঁর কবর অতিক্রম করে যান। . কনস্টান্টিনোপল বিজয়ে উসমানীয়দের নাম ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকলেও যুগযুগ ধরে মুসলিম শাসকগণ কনস্টান্টিনোপল অভিমুখে অভিযান পরিচালনা করেন। মুসলমানগণ কনস্টান্টিনোপলে প্রথম অভিযান পরিচালনা করে উমাইয়া খলিফা হযরত মুয়াবিয়া রাযি. এর শাষণআমলে। ৬৭৪-৭৫ খৃষ্টাব্দে ইয়াজিদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। দ্বিতীয়বার ৭১৬-১৭ খৃষ্টাব্দে ৭ম উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আব্দুল মালিকের শাষণআমলে কনস্টান্টিনোপল অভিমুখে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবং প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হয়। আব্বাসীয় ৩য় খলিফা আল মাহদি শাহজাদা হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেন। ৭৮২ সালের এই অভিযানে আব্বাসীয়রা সাফল্য অর্জন করে। এতে বাইজেন্টাইনরা কর দিতে সম্মত হয়। খলিফা হারুনের শাসনামলে ততকালীন সম্রাট নাইসিফোরাস কর দিতে অস্বীকৃতি জানালে খলিফা অভিযান চালিয়ে হিরাক্লিয়া দখল করেন। তবুও অজেয় থেকে যায় কনস্টান্টিনোপল। পরবর্তীতে আব্বাসীয় খেলাফতে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে মুসলমানদের কনস্টান্টিনোপল বিজরের স্বপ্ন অক্ষুণ্ণই থেকে যায়। এছাড়াও সেলজুকরা কনস্টান্টিনোপল অভিমুখে কিছু অভিযান চালিয়েছিল। তবে তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। . উসমানি যুগ নিকোপলিসের যুদ্ধের (১৩৯৬) পর সুলতান প্রথম বায়জিদ কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের সংকল্প করেন। কিন্তু বাইজেন্টাইনদের প্ররোচনায় তৈমুর লং উসমানীয় সাম্রাজ্য ধ্বংসের লক্ষ্যে আঙ্কারায় এগিয়ে আসেন। ১৪০২ সালে বায়জিদ ও তৈমুরের দুটি মুসলিম বাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি হোন। এ যাত্রায় উসমানীয়দের হাত থেকে রক্ষা পায় কনস্টান্টিনোপল। . ১৪২১ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ উসমানীয় সাম্রাজ্যের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোন। দ্বিতীয় মুরাদের সিংহাসনে আরোহনের পর বাইজেন্টাইনদের ষড়যন্ত্রে উসমানীয় সাম্রাজ্যে একেরপর এক বিদ্রোহ তৈরি হয়। সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ ক্ষুব্ধ হয়ে বাইজেন্টাইনদের কনস্টান্টিনোপল আক্রমণের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হোন। ১৪২১ সালে তিনি কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেন। এবং বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সুলতান মুরাদ যখন কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের দারপ্রান্তে ঠিক তখনই বাইজেন্টাইনদের প্ররোচনায় এশিয়া মাইনরে ভয়াবহ বিদ্রোহ তৈরি করেন মুরাদের ভাই মোস্তফা। ফিরে এসে শক্ত হাতে বিদ্রোহ দমন করেন মুরাদ। এবং মুস্তফাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ফলে আবারও রক্ষা পেল কনস্টান্টিনোপল। সুলতান মুহাম্মাদ ১৪৩২ খৃষ্টাব্দের ৩০ মার্চ তৎকালীন উসমানীয় রাজধানী আন্ড্রিয়ানোপলে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকেই শাহজাদা মুহাম্মাদের জন্য কিছু দ্বীনি শিক্ষক নিযুক্ত করেন সুলতান মুরাদ। তার শিক্ষকদের মাঝে আক শামসুদ্দিন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনিই ছোটবেলা থেকেই সুলতান মুহাম্মাদকে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের জন্য অনুপ্রাণিত করেন। ১১ বয়সেই সুলতান মুহাম্মাদ এমাসিয়া অঞ্চল শাষণের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৪৪৪ সালের ১২ জুলাই সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ ও ইউরোপীয় খৃষ্টানদের মাঝে ১০ বছরের শান্তিচুক্তি হলে নিজ সন্তান ১২ বছর বয়সী সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদকে ক্ষমতায় বসিয়ে অবসরে চলে যান দ্বিতীয় মুরাদ। ১২ বছর বয়সী মুহাম্মাদকে ক্ষমতায় দেখে ২ মাসের মধ্যেই শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে উসমানীয় সাম্রাজ্যে আক্রমণ চালায়। এসময় সুলতান মুহাম্মাদ তার পিতাকে পুনরায় ক্ষমতায় বসার অনুরোধ করলে সুলতান মুরাদ অস্বীকৃতি জানান। এসময় সুলতান মুহাম্মাদ ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “যদি আপনি সুলতান হোন তাহলে এগিয়ে এসে আপনার সৈন্যদের নেতৃত্ব দিন। আর যদি আমি সুলতান হয়ে থাকি তাহলে আমি নির্দেশ দিচ্ছি আপনি আমার সৈন্যদের নেতৃত্ব দিন”। ১৪৪৪ খৃষ্টাব্দের ১০ নভেম্বর সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ পুনরায় ক্ষমতায় আসেন। এবং ভারনার যুদ্ধে পোল্যান্ডের সম্রাট ভ্লেডিসলো ও সেনাপতি জন হানিয়াডির নেতৃত্বাধীন হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও ভালাকিয়ার যৌথ খৃষ্টান বাহিনীকে শোচনীয় ভাবে পরাজিত করেন। ১৪৫১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ ইন্তেকাল করলে দ্বিতীয় বারের মতো সিংহাসনে আরোহন করেন সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ। বাইজেন্টাইনরা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করল। তারা সুলতানকে পূর্বের ন্যায় দুর্বল ভেবে তাদের হাতে বন্দী থাকা সুলতানের ভাইকে মুক্ত করে বিদ্রোহ বাঁধানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সুলতান তাদের সকল ষড়যন্ত্র বানচাল করে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে কনস্টান্টিনোপল অবরোধের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কনস্টান্টিনোপল ছিল প্রায় খৃষ্ট বর্ষ ৩ শতক থেকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর। এর তিন দিকে জল ও এক দিকে স্থল। পূর্বে বসফরাস প্রণালি, উত্তরে গোল্ডেন হর্ন ও দক্ষিণে মারমারা উপসাগর। এটি ছিল ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণসাগরের সংযোগস্থল এবং বসফরাস প্রণালির তীরে অবস্থিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে দূর্ভেদ্য নগরী। সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের জন্য তৎকালীন বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধপ্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তিনি হাঙ্গেরিয়ান কামান প্রস্তুতকারী ‘আরবান’- এর মাধ্যমে সবচেয়ে দূরপাল্লার কামান তৈরি করেন যা ‘শাহী কামান’ নামে পরিচিত। যথাযথ প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে তিনি ১৪৫৩ সালের ৬ এপ্রিল কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেন। কনস্টান্টিনোপলের ৩ দিকে জলসীমা থাকায় স্থলভাগেই আক্রমণ শুরু করে উসমানীয় বাহিনী। গোল্ডেন হর্ন গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রবন্দর। এদিক আক্রমণে ভয়ে গোল্ডেন হর্নের মুখে শিকল দিয়ে আটকে দেয় বাইজেন্টাইন বাহিনী। এতে করে উসমানীয় নৌবাহিনী বসফরাস প্রণালি দিয়ে গোল্ডেন হর্নে ঢুকতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়। গোল্ডেন হর্নে শিকল দিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করার পর স্থলভাগে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে উসমানীয়দের প্রতিহত করতে থাকে বাইজেন্টাইন বাহিনী। এতে করে কনস্টান্টিনোপলের দুর্ভেদ্য প্রাচীর কোনোভাবেই অতিক্রম করতে পারছিলেন না উসমানীয় রা। সুলতান মুহাম্মাদের একের পর এক রণকৌশল খুব সফলভাবেই ভেস্তে দিচ্ছিলো বাইজেন্টাইন বাহিনী। স্বপ্নে আবু আইয়ুব আনসারী (রাযি.): লাগাতার অবরোধ করে কনস্টান্টিনোপল দখল করতে না পেরে একরকমের অস্বস্তিবোধ করছিলেন উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ। সেনাদের ক্লান্তি ও লাশের সারি ক্রমাগত দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন সুলতান। তখন কিছুদিন তিনি আধ্যাত্মিক ধ্যানে মশগুল থেকে আল্লাহর কাছে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের জন্য দু’আ করতে থাকেন। এর মধ্যে তিনি স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবী হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাযি.) কে দেখতে পান। তিনি সুলতান মুহাম্মাদকে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের অনুপ্রেরণা যোগান এবং কনস্টান্টিনোপলের অদূরে নিজ কবরের সন্ধান দেন। পরবর্তীতে স্বপ্নে নির্দেশিত স্থানে মাটি খুঁড়ে আবু আইয়ুব আনসারী (রাযি.) এর কবরের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। সুলতান মুহাম্মাদের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও কনস্টান্টিনোপল বিজয়: আগেই বলা হয়েছে গোল্ডেন হর্নের মুখে শিকল দিয়ে বাধা দেওয়ার কারণে শুধু স্থলভাগেই আক্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছে উসমানীয়দের। গোল্ডেন হর্নের দিক থেকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে সুলতান মুহাম্মাদ এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি স্থলপথে জাহাজ চালিয়ে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিলেন। তিনি রাতের আধারে গাছের টুকরোয় চর্বি দিয়ে পিচ্ছিল করে তাতে ৮০ টি রণতরী বসফরাস থেকে প্রায় ১০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গোল্ডেন হর্ন সমুদ্র বন্দরে নিয়ে আসেন। অবশেষে গোল্ডেন হর্ন ও স্থলভাগ দুদিকেই আক্রমণের সুযোগ তৈরি করে উসমানীয়রা। বাইজেন্টাইনরা টের পেয়ে গোল্ডেন হর্নে সেনা মোতায়েন করলে অন্যদিকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ২৮ মে ১৪৫৩ ঈসাব্দের রাতে সুলতান মুহাম্মাদ কনস্টান্টিনোপলে চূড়ান্ত হামলার ঘোষণা দেন। ২৯ মে সকালে উসমানীয়দের একের পর এক হামলায় পর্যদুস্ত হয় বাইজেন্টাইন বাহিনী। সেসময় সাধারণ মানুষ এমনকি নারীরা পর্যন্ত উসমানীয়দের প্রতিহত করতে রণক্ষেত্রে নেমে আসে। দুর্গের প্রাচীর ভেদ করার পর সুলতান মুহাম্মাদ তার বিশেষ জেনিসারি বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেন। তাদের অন্যতম বীর সেনা হাসান আগা বীরত্বের সাথে বাইজেন্টাইন সেনাদের প্রতিহত করে দুর্গে উসমানীয়দের চাঁদ খচিত পতাকা উড্ডীন করতে সক্ষম হোন। কথিত আছে সেন্ট রোমান্স (বর্তমানে তোপকাপি প্রাসাদ) এর উপর সর্বপ্রথম উসমানীয় প্রতাকা উড্ডীন হয়। দুর্গে পতাকা দেখে উসমানীয়দের স্পৃহা বেড়ে যায় এবং তারা অগ্রসর হলে যুদ্ধের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ হয়ে যায়। রোমান সম্রাট কনস্টাইন আসন্ন পরাজয় দেখতে পেয়ে নিজের বিশেষ রাজকীয় পোশাক খুলে যুদ্ধে আবর্তিত হন। এবং মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে ১১শ বছরের বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সমাপ্তি ঘটে এবং মুসলমানদের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়। ২৯ মে সুলতান মুহাম্মাদ বিজয়ী বেশে কনস্টান্টিনোপলে প্রবেশ করেন। তিনি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তিনি নারী- শিশুদের প্রতি যে দয়া দেখিয়েছেন তা খৃষ্টান ইতিহাসবিদরাও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। সুলতান মুহাম্মাদ শহরের নাম পরিবর্তন করে ইসলাম বুল তথা ইসলামের শহর রাখেন। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন হয়ে বর্তমানের ইস্তাম্বুল নামে পরিচিত। তিনি তার সাম্রাজ্যের রাজধানী আন্ড্রিয়ানোপল থেকে ইস্তাম্বুলে স্থানান্তরিত করেন। তখন থেকে তিনি মুহাম্মাদ আল ফাতিহ তথা বিজেতা মুহাম্মাদ নামে পরিচিত।