আবহমান বাংলাসাহিত্য যে পথ ধরে ক্রমশ এগিয়ে চলছিল তার থেকে মুক্তিযুদ্ধের তীব্রতা বাংলাদেশের সাহিত্যকে স্মরণীয় রকমের পৃথক পথে নিয়ে চলেছে। তাই আজ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। কারণ একাত্তরে যুদ্ধমান বাঙালির পারিপার্শ্বিকে সৃষ্টি হয়েছে নতুন বোধ। সেই সময় থেকে এ দেশের মানুষের মনে জেগে উঠেছে সুন্দরভাবে, বিপুলভাবে বেঁচে থাকার নিরন্তর বাসনা। আমাদের কথাসাহিত্যের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনাগুলোতে তো বটেই সাধারণভাবে সাহিত্যের সব ধরনের মাধ্যমেই লেখকদের চৈতন্যের গভীরে ক্রিয়াশীল। বর্তমান সংকলনে মূর্ত হয়েছে দেশের জনজীবনে মুক্তিযুদ্ধের অভিঘাত। যুদ্ধকালীন ছবি যেমন উঠে এসেছে তেমনি এসেছে মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধোত্তর কালের হতাশা। মোটকথা বর্তমান সংকলনকে বলা চলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ একটি গম্পসগ্রহ। যাদের লেখা গল্প * শওকত ওসমান/আলোক অন্বেষা * জহির রায়হান/সময়ের প্রয়জনে * আব্দুল গাফফার চৌধুরী/রোদের অন্ধকারে বৃষ্টি * সৈয়দ শামসুল হক/ কথাপোকথন : তরুন দম্পতির * শওকত আলি/কোথায় আমার ভালবাসা * হাসান আজিজুল হক/ ফেরা * জাহানারা ইমাম/রায়বাঘিনী * রাহাত খান/এই বাংলায় * মাহমুলহক/কালো মাফলার * আবদুশ শাকুর/ইশু * বিপ্রদাস বড়ুয়া/আশ্রয় * আখতারুজ্জামান ইলিয়াস/অপঘাত * সেলিনা হোসেন/যুদ্ধজয় * কায়েস আহমেদ/ আসন্ন * হুমায়ূন আহমেদ/১৯৭১ * ইমদাদুল হক মিলন/প্রস্তুতিপর্ব
Ahamad Mazher জন্ম : ২৭ মার্চ ১৯৬৩, ঢাকায়। শিক্ষা : ১৯৭৮ সালে ঢাকা খিলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস। সি, শহীদ সোহরাওয়াদী কলেজ থেকে ১৯৮০ সালে এইচ এস সি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর। ছোটদের জন্য গল্প কবিতা ও প্ৰবন্ধ লিখে প্রথম দিকে পরিচিত হলেও সাম্প্রতিক কালে সমাজ-চিন্তা ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ, সংস্কৃতি ও সমালোচনা লিখছেন। অনুবাদ-রূপান্তর ও পুনর্কথনমূলক রচনাও রয়েছে কিছু। রচিতঅনূদিত-সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ষাটের অধিক। শিক্ষা ও সংস্কৃতিধর্ম প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গঠন যুগে দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে চ্যানেল আই-এ কর্মরত। এছাড়াও বইয়ের জগৎ নামে একটি ত্রৈমাসিক লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন।