ফ্ল্যাপ: একজন নারী! যার অন্তর্দেহের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রেম-ভালোবাসাকে ঘিরে তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও দুর্নিবার তৃষ্ণার বসবাস। একফোঁটা ভালোবাসার বিষবাষ্প হৃদয়ে লালন করে, বিগলিত হৃদয়ের সেই তৃষ্ণা মেটাতে উন্মুখ হয়ে থাকা সেই নারীটি তলিয়ে যায় অকূল-পাতালে। 'বউ সোহাগি' বইটিতে আছে এমনই এক নারীর কথা। যে সমুদ্র সফেনের, নোনা-পানির সেই উথালপাথাল ঢেউকে প্রশমিত করে ভালোবাসার একফোঁটা জল মেশাতে চেয়েছে। আদৌ কি তা পারবে? নাকি অজানা কোনো ঝড় এসে মাতাল সমুদ্রকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে? ভয়ানক সেই ঝড়ের কবলে এই ঠুনকো ভালোবাসা কি বন্দী হয়ে যাবে সমুদ্রতলের কোনো এক আঁধার কুঠুরিতে? 'বউ সোহাগি' বইটায় অত্যন্ত সহজ-সরল এক ছেলের জীবনের প্রতিচ্ছবি চিত্রায়িত হয়েছে। অত্যন্ত ভুলোমনা এবং সারল্যতা যেন তার জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বুনো ঘাসের মতো ছড়িয়ে আছে। একটা সময় পর, স্নেহের বাহুডোরে থাকা সেই ছেলেটা একমুহূর্তেই ছিটকে পড়ে কঠিনতম বাস্তবতার সামনে। মুখোমুখি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত সেই পরিস্থিতি কিংবা জীবনের টানাপোড়েনে। যেন সে ভঙ্গুর মরিচার মতো ক্ষয়ে যায়। ঠিক সেইসময় বুকের ভেতর কোথাও একটা সুখময় যন্ত্রণার উদ্রেক হয়। সে খুব করে আঁকড়ে ধরতে চায় সেই দৃঢ় অবলম্বনটুকু। শেষ পর্যন্ত কি এই যন্ত্রণা সুখের হয়? নাকি ভালোবাসার তীব্র দাহে হৃদয় পুড়ে অঙ্গার হয়? প্রতিটা মানুষের জীবনে একটি অরক্ষিত গোপন কক্ষ থাকে। যে কক্ষে আবেগ-অনুরাগ, আনন্দ-অশ্রু আর নাম না জানা সব মান-অভিমানের হাজারো স্মৃতির বর্ণরেখা ধরে একান্ত আনমনে কিংবা অগোচরে গল্প রটে। ভালোবাসার বৃষ্টি হয়, কখনো-বা দুঃখ গলা নোনা পানির বান ডাকে। কেউ একজন করুণ সুরে বলে, "ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসতে না পারা যে কতটা কষ্টের, তা একমাত্র আমিই জানি" মনের গহীনে অনুচ্চারিত এমনই সব জীবন্ত-দগ্ধ নির্মম অনুভূতি নিয়ে ভালোবাসার বৃষ্টি-বাদলের গল্প উঠে এসেছে গোটা উপন্যাস জুড়ে।