মুসলিম জাতি। কুরআনের ভাষায় যাদের আবির্ভাবই হয়েছে মানুষকে সৎ পথে আদেশ আর অসৎ পথ থেকে নিষেধ করবার জন্যে। দাওয়াহ এই জাতির একদম মৌলিক কাজের একটি। প্রতিটি মুসলিমই একেকজন দা’ঈ ইলাল্লাহ। আর এই বাস্তবতার পরিচয় আমরা ইতিহাসের পাতায় পাতায় পাই। আমরা দেখি যে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ইসলাম ছড়িয়ে গেছে জনপদ থেকে জনপদে। যোদ্ধার তরবারির মাধ্যমে ইসলাম ছড়িয়েছে মহাদেশ থেকে মহাদেশে। সব বয়সের, সব পেশার নারীপুরুষ যার যার অবস্থান থেকে যার যার মেধা, দক্ষতা অনুয়ায়ী চালিয়ে গেছেন আল্লাহর দ্বীনের প্রচার। অথচ আল্লাহর পথে ডাকার জন্য আদিষ্ট এই জাতির সদস্যরা আজ ভুলে গেছে পথহারা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকতে। যদিও বা ডাকে, কিন্তু সেই ডাকের মধ্যে থাকে না হিকমাহর ছোঁয়া। পথভ্রষ্টতা আর বিকৃতির এই যুগে এসে বিকৃত হয়ে গেছে হিকমাহর সঠিক অর্থও। যদি মজলুম শব্দগুলোর একটি তালিকা করা হয়, তবে হিকমাহ শব্দটির অবস্থান সবার উপরের দিকেই থাকবে। হিকমাহ শব্দটি আজ সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে আপসকামিতার আর অন্যায়কে মেনে নেবার মানসিকতার। অথচ আল্লাহ তাঁর রাসুলকে পাঠিয়ছেন মানুষকে হিকমাহর শিক্ষা দেবার জন্য। অনেক হয়েছে বিভ্রান্তি আর বিকৃতির পথে পথচলা। দাওয়াতের জাতি দাওয়াত ছাড়া চলতে পারে না। দাওয়াহ আর হিকমাহ-এর সঠিক শিক্ষা ছাড়া মুসলিম জাতির অগ্রগতি অসম্ভব। খিলাফতের পতনের পরের উত্তাল সময়গুলোতে ইসলামের ঝান্ডাকে উঁচু করে ধরে যারা হিকমাহর সাথে ইসলামের দাওয়াহ চালিয়ে যাবার মহান কাজটির আঞ্জাম দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেই জ্বলজ্বলে একটি নাম হল শাইখ রিফায়ি সুরুর রাহিমাহুল্লাহ। মিশরের জালিম শাহির অত্যাচার নির্যাতনও যাঁর দাওয়াহকে স্তব্ধ করে দিতে পারিনি। সময়ের এই মহান দা’ঈ ইলাল্লাহর লিখিত “হিকমাতুদ দাওয়াহ” কিতাবের বাংলা অনুবাদ মুসলিমদের খেদমতে পেশ করছে প্রকাশনা জগতের নতুন নাম রিশাহ পাবলিকেশন্স। সাবলীল অনুবাদে বইয়ের বিষয়বস্তুর আবেদন বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছেন মাওলানা সাদিক ফারহান।