তীক্ষ্ণ দীপ্ত চক্ষু শেখ আকতার কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও শিশু সাহিত্যিক শেখ আকতার, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ আর লালন সাইজির লীলাভূমি পদ্মার শ্যামল কন্যা কুষ্টিয়ার কৃতিসন্তান। সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায়ই এই গুণী সাহিত্যিকের কলম সমানভাবে চলমান। প্রায় তিন দশক ধরে তিনি মাতৃভাষা বাংলার সেবা করে যাচ্ছেন। সে দিক দিয়ে কবি শেখ আকতারকে একজন সব্যসাচী লেখক বলা চলে। 'তীক্ষ্ণ দীপ্ত চক্ষু'- কবি শেখ আকতারের ৮ম প্রকাশনা আর চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ। গদ্য ছন্দের পাশাপাশি কবি অন্তমিলে লিখতে পছন্দ করেন। নজরুল, সুকান্তের মতো কবি'র কবিতায় সাম্যবাদের এক মিষ্টি পদধ্বনি শোনা যায়। পাওয়া যায় দশতলা আর গাছতলার বৈপরীত্যের কথা- উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে নিরন্ন মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রনার কথা। সমাজের উচু নিচু ভেদাভেদ তাঁকে ব্যথিত করে। সে দিক দিয়ে কবি শেখ আকতার একজন সাম্যবাদের কবি। আধুনিক কবি'র অন্যতম বৈশিষ্ট বিশ্ব ভাবনা যা তাঁর কবিতায় সপ্তর্ষিমণ্ডলের মতো জ্বলজ্বলে। বিশ্ব যখন লাশের মিছিলে ভারাক্রান্ত তখনি কবি'র প্রাণ কেঁদে উঠে। তাই তিনি করোনা মহামারিকে করজোড়ে মিনতি জানান তার তান্ডব থামাতে। কবি তাঁর 'নতুন সূর্যের আহব্বান' কবিতায় স্বপ্ন দেখেন ক্ষুধামুক্ত এক নতুন পৃথিবীর। যেখানে অত্যাচার নিপীড়ন নেই। যেখানে ক্ষুধার যন্ত্রনা নেই। যেখানে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে না। কবি'র কবিতায় প্রেম আর প্রকৃতি জড়াজড়ি করে অবস্থান করে। সেই রোমান্টিকতার ভেতর কবিতার লাইনে লাইনে ঘোমটা পরা এক তিলত্তমার শরীরের উত্তাপ, পাঠক পড়তে গেলে অনুভব করবেন। কবি শেখ আকতারের কবিতায় সবচেয়ে আমাকে বেশী করে টেনেছে তাঁর দেশপ্রেম। তাঁর 'নির্লজ্জ স্বাধীনতা' কবিতায় তিনি স্বাধীনতার প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেছে, মুক্তির অপ্রাপ্তির কথা। সময়ের স্রোতধারা যেমন বয়ে যাচ্ছে তেমনি কবিও নিত্য নিজেকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছেন। কবি'র কবিতা আগামীতে আরো বহুদূর যাক। অর্জন করুক ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা- এই কামনায়। মাহবুব খান কবি উপন্যাসিক প্রতিসঠাতা মহাসচিব অনুশীলন সাহিত্য পরিসদ