একবিংশ শতাব্দী হলো ইসলামের বিজয়ের শতাব্দী। এই বিজয় সামরিক সাংস্কৃতিক ও সামগ্রিক । চলমান বিশ্বের সংবাদগুলো পর্যালোচনা করে এই মতই ব্যক্ত করেছেন সময়ের বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ জ্ঞানতাপস ব্যক্তিগণ। ইসলামের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে একজন মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য হলো নিজকে জানা ও চেনা। অতীতের ভুলগুলো শুধরে বিশুদ্ধ বর্তমান ও উন্নত ভবিষ্যতের বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করা। এক্ষেত্রে আপনি বিপুল সহায়তা পাবেন নির্বাসিতের জবানবন্দি পাঠ করে। এটি পড়ে নতুনভাবে ভাবতে ও সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন। নির্বাসিতের জবানবন্দি মূলত মহান সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের তথ্যসমৃদ্ধ দিনলিপির সরল ও প্রথম অনুবাদ। নির্বাসিতের জবানবন্দিতে আপনি পাবেন মুসলিম উম্মাহর বিজয় অর্জনের পদ্ধতি, খেলাফতের প্রয়োজনীয়তা, পাশ্চাত্য সভ্যতার গঠনমূলক সমালোচনা, আধুনিক বিশ্বে মুসলিমদের করণীয়, উসমানি খেলাফতের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলির সত্যপুষ্ট বিবরণ, কপট নেতাদের অপকর্মের পরিণাম, সত্যের পক্ষে থাকার মানসিক প্রশান্তি, ঐতিহাসিক একত্রিংশ মার্চের আসল চিত্র, তুর্কি ঐক্য ও উন্নয়ন ফেডারেশন, তুর্কি তরুণ ফেডারেশন এবং পথভ্রষ্ট পাশা ও বেগদের ঘটনাবলি, প্রচলিত রাজনীতির সুফল এবং কুফল, উসমানি খেলাফত-সম্পর্কিত বিভিন্ন স্থান নিদর্শন ব্যক্তি ও চুক্তিপত্রের পরিপূর্ণ পরিচিতিসহ বহুকিছু। নির্বাসিতের জবানবন্দি হতে পারে আপনার বহু অজানাকে জানার চমৎকার প্রবেশদ্বার।
Title
নির্বাসিতের জবানবন্দি : সুলতান আবদুল হামিদ রহ. এর দিনলিপি
মুহাম্মদ শাহেদ হাসান জন্মেছেন নারায়ণগঞ্জে। তাঁর পিতা জনাব দেলোয়ার হোসেন হাফিজাহুল্লাহ একজন দীনদার ও আলেমপ্রিয় ব্যবসায়ী। মা গৃহিণী ও কুরআন-সুন্নাহের আলেমা। বাবার দোয়ায় এবং মায়ের মেহনতে তাঁর মধ্যে রোপিত হয়েছিল জ্ঞানতৃষ্ণার বরকতময় বীজ, যা দিনেদিনে পুষ্ট ও পূর্ণতায় উন্নীত হচ্ছে আল্লাহর রহমে। উলুমুল কুরআন, উলূমুল ফিকহ ও ভাষা-সাহিত্য তাঁর পড়ালেখায় আমৃত্যু আরাধ্য হলেও জ্ঞানের যেকোনো শাখায় চোখ বুলানো তাঁর অপূরণীয় শখ। তাই ডান-বাম বহুধারার বই পড়া ও নতুন বইয়ের গন্ধ নেওয়ার শখ তিনি মহান আল্লাহর বিরাট নেয়ামতবোধ করেন। শিক্ষকদের ছায়ায় ও প্রবীণদের সান্নিধ্যে সুগঠিত হয়েছে তাঁর চিন্তাচেতনা ও আত্মমর্যাদাবোধের দেহ। তথাপি তিনি লেখালেখির মাধ্যমে পাঠক-পাঠিকার আন্তরিক দোয়া কামনা করেন। মুহাম্মদ শাহেদ হাসান লিখেছেন মাসিক মুঈনুল ইসলাম ও মাসিক মদীনাসহ বেশকিছু ম্যাগাজিনে। লেখালেখির সূচনা স্নেহশীল মামা হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহর উৎসাহে। পরে তা অগ্রসর হয়েছে গদ্যশিল্পী শায়খ ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী হাফিজাহুল্লাহর স্নেহছায়ায়। তিনি হাফিজে কুরআন। দাওরায়ে হাদীস কমপ্লিট করেছেন উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামী বিদ্যাপীঠ জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম হাটহাজারীতে। তাঁর শিক্ষকদের তালিকায় রয়েছেন শায়খুল ইসলাম আহমদ শফি, শায়েখ আব্দুল আলিম, শায়েখ জুনাইদ বাবুনগরি ও মুফতি আবদুস সালাম চাটগামি (রাহিমাহুমুল্লাহ)। মুহিউস সুন্নাহ মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন, মুফতী কিফায়াতুল্লাহ, মুফতি আবদুল আজিজ, আতাউল কারিম মাকসুদ, কারি মিসবাহুদ্দীন প্রমুখ (হাফিজাহুল্লাহ)